শেষ আপডেট: 30th July 2024 16:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাইভেট টিউশন করলেই চাকরি বাতিল করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকায় জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা ওই নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সংসদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গৃহ শিক্ষকদের সংগঠন। বিষয়টি সদর্থক বলে মনে করছেন অভিভাবকদের অনেকেও। তবে সংসদের এমন ভূমিকা মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "মগের মুলুক নাকি! এভাবে সরকারি চাকরি কাড়া যায় না। সংংসদের জারি করা নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ওনারা এভাবে শিক্ষকদের অপমান করতে পারেন না।"
নিজের দাবির সপক্ষে চন্দনবাবুর ব্যাখ্যা, "স্কুল আওয়ার্সে কেউ স্কুলে না পড়িয়ে বাইরে কিছু করলে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু স্কুলের সময়ের বাইরে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিষয়ে এভাবে হস্তক্ষেপ করা যায় না। এটা স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর।"
চন্দনবাবু আরও বলেন, "শিক্ষকরা ঠিক মতো পড়াচ্ছেন কি না, যথাযথ ক্লাস করাচ্ছেন কি না, সেজন্য আমরা নজরদারি বৃদ্ধির কথা বলেছিলাম। সেদিকে হুঁশ নেই পর্ষদের অথচ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মানুষকে খ্যাপানোর চেষ্টা হচ্ছে।"
ঘটনার সূত্রপাত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি নোটিস জারি করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। স্পষ্ট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, যে সকল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশান করছেন তাদের অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। না হলে চাকরি বাতিল হবে। ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদের তরফে এও জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ফেরাতে এই উদ্যোগ। সংসদের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গৃহ শিক্ষক সংগঠন।