শেষ আপডেট: 4th October 2024 09:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর নিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁদের সমর্থনে মিছিলে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে, বৈঠক সবই করেছেন তাঁরা। এবার তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল! আদৌ তাঁরা ঠিক মতো নিয়ম মানছেন কিনা, তা জানতে চাইছে স্বাস্থ্যভবন। 'বন্ড'-এর অন্তর্গত সিনিয়র রেসিডেন্টদের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেডিক্যাল পড়ুয়া বা ডাক্তারদের জন্য বন্ডের সময়সীমা হল তিন বছর। এক বছর মেডিক্যাল কলেজে এবং বাকি দু’বছর জেলা-গ্রামীণ হাসপাতালে কাজ করতে হয় সিনিয়র চিকিৎসকদের। বন্ড অনুযায়ী নিয়ম এটাই। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, এই নিয়ম মানছেন না অনেকেই। তাই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন।
নিয়ম বলছে, বন্ড কেউ যদি না মানেন বা মানতে না চান তাহলে স্বাস্থ্যভবনকে টাকা দিতে হয়। অভিযোগ, কয়েকটি রাজ্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা এই নিয়ম মানেননি। তাই সেইসব কলেজের সুপার ও অধ্যক্ষদের উদ্দেশে চিঠি গেছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। দাবি করা হচ্ছে, বন্ডের নিয়ম মেনে মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরও সিনিয়র ডাক্তাররা গ্রামীণ হাসপাতালে যাচ্ছেন না।
আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই একাধিক সিনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ এসেছে। তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। মূলত আরজি কর হাসপাতালের বেশ কিছু সিনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে এমন পরিস্থিতি বলেই দাবি। সব মিলিয়ে এখন সিনিয়র ডাক্তারদের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।