শেষ আপডেট: 27th November 2021 11:19
মুম্বই বিমান বন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারান্টাইন, জিনোম সিকোয়েনসিং
দ্য ওয়াল ব্যুরো : দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা দিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন (Omicron)। এর ফলে উদ্বেগ দেখা গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। শনিবার মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের বিমান বন্দরে কোয়ারান্টাইন করা হবে। তাঁদের মধ্যে কেউ যদি করোনা পজিটিভ হন, তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। ভারতে করোনা অতিমহামারীতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মুম্বইতে। মেয়র বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে মুম্বইতে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। বর্তমানে কয়েকটি দেশে নতুন করে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁদের জিনোম সিকোয়েনসিং করা হবে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টার থেকেও সংক্রামক। তা ঝড়ের গতিতে জিনের গঠন বদলে ফেলতে পারে। সুপার-স্প্রেডার এই প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ বা ‘ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন’ বলে ঘোষণা করেছে হু। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্ট বলছে, নতুন এই প্রজাতির জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের গঠন বিন্যাস বের করে এর নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১৫২৯। এর মধ্যে জানা গিয়েছে, শনিবার এক বৈঠকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে দেশে করোনা টিকাকরণের গতি কেমন, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানবেন। সেইসঙ্গে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে স্বাভাবিক হতে চলেছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। যেসমস্ত দেশগুলি “ঝুঁকিপূর্ণ” তালিকার অন্তর্ভূক্ত নয়, আপাতত সেই দেশগুলির মধ্যেই বিমান চলাচল করবে। এদিকে, গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে “উদ্বেগের কারণ” হিসাবে চিহ্নিত করায়, হংকং, বেলজিয়াম, ইজরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিমান চলাচলে প্রভাব পড়বে। আপাতত এই দেশগুলিতে নির্ধারিত উড়ানের ৭৫ শতাংশই চলাচল করতে পারবে। করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্টের ধাক্কায় শুক্রবার এশিয়ার প্রায় সব শেয়ার বাজারেই ব্যাপক হারে নেমেছে সূচক। ভারতে সেনসেক্স নেমেছে ১৪০০ পয়েন্ট। নিফটিও নেমেছে ১৭,১০০-র ঘরে। সেনসেক্সে নথিভুক্ত শেয়ারগুলির মধ্যে সবচেয়ে দাম কমেছে এইচডিএফসি, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। জাপান বাদে অন্যান্য এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিতে মর্গান স্ট্যানলে ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল ব্রডেস্ট ইনডেক্স নেমেছে ১.৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের পরে শেয়ার সূচক আর কখনও এত বেশি নামেনি। প্রফিসিয়েন্ট ইকুইটিসের ডিরেক্টর মনোজ ডালমিয়া বলেন, কয়েকটি দেশে দেখা গিয়েছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট। এর ফলেই বিনিয়োগকারীরা বেশি ঝুঁকি নিতে ভয় পাচ্ছেন। এর ফলে অটোমোবাইল, ধাতু, ভোগ্যপণ্যম তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম পড়েছে দুই থেকে সাড়ে তিন শতাংশ।