শেষ আপডেট: 27th August 2024 15:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: চরম বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার ছবি ধরা পড়ল বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মর্গে। একদিনের বৃষ্টিতে জলে ডুবল মর্গ। সেই জমা জল দেহ ভাসছে। কোনও রকমে দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছে পরিবারের লোকজন। দুর্গন্ধে দাঁড়াতে পারছে না কেউই। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঝাঁ চকচকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। তার বাইরে এক কোণায় আগাছায় ঘেরা ভাঙাচোরা ছোট্ট একটা ঘরে চলে মর্গ। বিষ্ণুপুর মহকুমার এটাই একমাত্র মর্গ। কর্মীদের দাবি, ওই জলের মধ্যে মৃতদেহ টেনে বাইরে বের করে আনতে হচ্ছে তাদের। এরপরে সেলাই করে পরিবারকে দিতে হচ্ছে। নমুনাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
২৫ বছর ধরে এই মর্গেই কাজ করেন সুকুমার ডোম। তাঁর অভিযোগ, দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ সারতে হচ্ছে। মর্গের অবস্থা খুব করুণ। এই অবস্থাতেই তাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে।
সুকুমারবাবু জানিয়েছেন, রবিবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছিল। সোমবার মর্গে তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এসেছিল। একটি দেহ প্যাকিং করে পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হলেও বাকি দুটি দেহের সেলাইয়ে কাজ চলেছিল। সেই সময় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। তার পরেই হুড়হুড় করে জল ঢুকতে শুরু করে। যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল জারে জল ঢুকে যাওয়া নষ্ট হয়ে যায়। এখন নমুনা কী ভাবে জমা দেবেন তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। কোনও রকমে দেহ দুটিকে সেলাই করে পরিবারের হাতে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সুকুমার জানিয়েছেন, গত ৮ বছর ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা। কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয় জানিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থার ঠিক করা হয়নি।
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল জানিয়েছেন, হাসপাতালের মর্গটি সবচেয়ে নিচু জমিতে রয়েছে। তাই বৃষ্টি হলেই মর্গে জল জমে। নতুন মর্গের প্রয়োজন। সেবিষয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংর সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।