শেষ আপডেট: 30th August 2024 16:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম : সারা বিশ্বে দার্জিলিং চায়ে কদর রয়েছে। তবে চায়ের মানে অসমও পিছিয়ে নেই। কিন্তু চা চাষে ক্ষেত্রে একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বভারতী। লাল মাটির দেশ বীরভূমের রুক্ষ জমিতে এবারে চা চাষের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
বিশ্বভারতীর পল্লীশিক্ষা ভবনের উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ফার্মে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছে চা চাষ। প্রাথমিকভাবে এখানে চার রকম চা পাতার চাষ করা হবে। শুধু তাই নয়, চা পাতা নিয়ে আরও বিভিন্ন রকম গবেষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে উক্ত বিভাগের। এমনটাই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন বিভাগীয় অধ্যাপক ড: ভোলানাথ মণ্ডল।
রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদেশে গিয়ে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরে বীরভূমের রুক্ষ মাটিকে কীভাবে চাষের উপযোগী করে তোলা যায় তার জন্য একাধিক গবেষণা করেছিলেন । রথীন্দ্রনাথের সেই ভাবনাকেই সম্মান জানিয়ে এখনও বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পল্লী সংগঠন বিভাগ, পল্লী শিক্ষা ভবন, রথীন্দ্র কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রতে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে । উদ্ভিদ রোগ বিজ্ঞান বিভাগ এই পল্লী শিক্ষা ভবনেরই আওতাধীন।
দার্জিলিং ও বীরভূমের আবহাওয়ায় আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। তাই দার্জিলিংয়ের মতো বীরভূমের মাটিতে ভালো মানের চা উৎপাদন করাটা যেন ভোলানাথবাবুর কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
অধ্যাপকের দাবি,"আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণে চা পাতার গুণমানের পার্থক্যও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । যদি রুক্ষ মাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই চা পাতার চাষ সফল হয় তবে তা যুগান্তকারী হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, দেড় বিঘা জমিতে টিনালি, টিবি নাইন, ২৩-২৪, ২৫-২৬ এই চার রকমের চা পাতা পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। যেটাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাও। কোনও কৃষি জমি নয়, এই চাষের জন্য রুক্ষ এবং অনাবাদি জমিতেই এই চাষ করা হচ্ছে। দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও অসমের সঙ্গে বীরভূমের আবহাওয়ার পার্থক্য থাকলেও , মাটির প্রকার অনেকটা অম্লযুক্ত। তবে জৈব সার বীরভূমের থেকে ওদিকের মাটিতে অনেকটাই বেশি। যদি এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হয় তবে এগ্রোটুরিজমের মুকুটের যে আরও একটি নতুন পালক উঠবে তা বলার অপেক্ষায় রাখে না।