শেষ আপডেট: 4th September 2024 14:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝালদা: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে অভিযুক্ত নিহতের দাদা নরেন কান্দুকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপূর্ব সাহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে আরও এক অভিযুক্ত আশিফ বসির খানকে জামিন দিয়েছে দুই বিচারপতির এই বেঞ্চ। ১ লক্ষ টাকা বন্ড জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।
এই দুই জামিনদারকে একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলির মধ্যে দুজনকে সিবিআইয়ের কাছে মোবাইল নম্বর দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। আদালতে হাজিরা দেওয়ায়র পাশাপাশি সল্টলেক পুরসভা এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না অভিযুক্তরা। সিবিআই দফতর সিজিও কমপ্লেক্সের ২ কিলোমিটারের মধ্যেই তাঁদের থাকতে হবে।মঙ্গলবার অভিযুক্তদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিনই জেলের বাইরে নরেন কান্দুর স্ত্রী বাবিন কান্দুকে দেখা যায়। তিনি স্বামীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ের বাবিন বলেন, " আমাব স্বামীর নির্দোষ। বিচার ব্যবস্থার উপল আমার ভরসা রয়েছে। আমার স্বামী কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।"
তখন সবে ঝালদা পুরসভার ভোট হয়ে গেছে। বোর্ড গঠনের হওয়া বাকি। এমন এক পরিস্থিতিতে গুলি করে ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করে আততয়ীরা। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। ঝালদা-বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কের উপরে গোকুলনগর এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। বাইক নিয়ে সেখানে এসেছিল তিন আততায়ী। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তপন কান্দুকে নিশানা করে গুলি চালায় তাঁরা।
এই ঘটনার পরে ভাইকে চক্রান্ত করে খুনের অভিযোগ ওঠে দাদা নরেন কান্দুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঝালদা পুরসভা কার দখলে যাবে তাই নিয়ে নরেনের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয়েছিল বিরোধীদের। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, সম্পত্তিগত কারণের ভাইকে খুনের ছক কোষে ছিলেন নরেনই। এই সমস্ত অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি। মামলা যায় হাইকোর্টে। এই মামলার তদন্তের দায়ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ঘটনার ৮৯ দিনের মাথায় ১৩ জুন পুরুলিয়ার জেলা আদালতে প্রথমে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানে নরেন কান্দু ছাড়াও আরও তিনজন অভিযুক্তের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে নরেন কান্দুর ছেলে দীপক ও কলেবর সিং, আশিফ বসির খান ছিল। চারজন দুবছর ধরে জেলে। তাঁদের মধ্যে দুজনকে জামিন দেওয়া হল।