গ্রামবাসীরা মাঠ বাঁচাও কমিটি তৈরি করেন। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 31st July 2024 18:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পুরুলিয়া: খেলার মাঠ বাঁচাতে দুই তৃণমূল নেতা-সহ বেশ কয়েকজনকে সামাজিক ও রাজনৈতিক বয়কট করলেন ঝালদার তুলিন গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ল জেলার রাজনৈতিক মহলে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সহ-সভাপতি শেখ সুলেমান ঝালদার তুলিনে একটি জায়গার দখল নিতে গেলে এলাকার মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এলাকার মানুষের অভিযোগ, শেখ সুলেমান ও তাঁর দলবল খেলার মাঠের বেআইনি দখল নিতে চাইছেন। শেখ সুলেমানের পাল্টা দাবি, জায়গাটি তাঁর কেনা। সঠিক কাগজপত্র রয়েছে, তবুও গ্রামবাসীরা সেই জায়গা দখল করে রেখেছে।
"
ঘটনা ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঝালদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই ঘটনার পরেই মঙ্গলবার বিকেলে তুলিন গ্রামে "মাঠ বাঁচাও কমিটি" নামে একটি কমিটি গঠন করেন গ্রামবাসীরা। বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন যাঁরা মাঠরক্ষার বিরুদ্ধে তাঁদের সামাজিক বয়কট করা হবে। সেইমতো পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সম্পাদক রাজীব কুমার সাউ, ঝালদা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সম্পাদক সন্তোষ চেল, গ্রামবাসী ঘনেনাথ মাহাতো এবং বিপ্রদাস মাহাতোকে সামাজিক ও রাজনৈতিক বয়কটের ডাক দেন গ্রামবাসীরা। সমস্যার সমাধান না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাঠ বাঁচাও কমিটির সদস্যরা।
বয়কটের শিকার জেলা তৃণমূলের সম্পাদক রাজীব কুমার সাউ ও ঝালদা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সম্পাদক সন্তোষ চেল বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে একজন সামাজিক ও রাজনৈতিক বয়কটের শিকার কেন হবে তার জবাব চাই। আমাদের পরিবারের সদস্যরা যদি কোনও সমস্যার মুখে পড়েন, তাহলে আইনি পদক্ষেপ করব।" বিষয়টি নিয়ে আইনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সহ-সভাপতি শেখ সুলেমান।
অন্যদিকে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, "তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের জেলা সহ সভাপতি শেখ সুলেমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।