শেষ আপডেট: 22nd January 2025 13:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: চকোলেট কিনতে গিয়ে দোকানির লালসার শিকার ১২ বছরের কিশোরী। ঘটনা জানাজানি হতেই সিউড়ির ওই মুদির দোকানে ভাঙচুর চালায় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিশ। এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁর দাদাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে ওই মুদি দোকানে গিয়েছিল ১২ বছরের কিশোরী। চকোলেট কেনে। বাড়ি ফিরে আসার সময় তাকে ডেকে ভিতরে নিয়ে যায় ওই দোকানদার। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। নাবালিকার আর্ত চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশী এক মহিলা। তিনি বলেন, ‘‘আমি বাড়ির জানলার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। বাচ্চাটা মুদির দোকানে কিছু কিনতে এসেছিল। হঠাৎ দেখলাম দোকানদার ওকে ঘরে ঢুকিয়ে নিল। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পরেও মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখিনি। আমি ছুটে গিয়ে দোকানদারের কাছে গিয়ে মেয়েটি কোথায় জানতে চাইলে ও কোনও উত্তর দেয়নি।" পরে তিনিই নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
বুধবার সকালে এই কথা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় মানুষজন দোকানটিতে ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়। মঙ্গলবার রাতে থেকেই আর খোঁজ মেলেনি ওই দোকানির। বুধবার সকালে অভিযুক্তের দাদাকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে সিউড়ি থানার পুলিশ।