অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: 10th November 2024 20:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একদিকে যখন হাওড়ায় পথ দুর্ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার রুমকি হাজরার মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর পরিবার, তখন আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ। রবিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার ঘটনা। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য সাঁইথিয়া থানায় কর্মরত।
স্থানীয় সুত্রের খবর, থানায় কাজের পাশাপাশি গ্যাস বেলুনের ব্যবসা করতেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। রবিবার দুপুরে বেলুনে গ্যাস ভরার জন্য এলাকারই বাসিন্দা বিপত্তারণ বাগদী নামে এক যুবককে ডেকে পাঠান তিনি। ওই যুবক রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
জানা গেছে, এদিন দুপুরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই এলাকা। জানা যায় সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদের বাড়িতেই হয়েছে বিস্ফোরণ। স্থানীয়রা তাঁর বাড়িতে ঢুকে সামনের ঘরেই অচৈতন্য অবস্থায় বিপত্তারণ বাগদীকে পুড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে বাইরে আনতে আনতেই মারা যান ওই যুবক।
ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙচুর করা হয় দুর্গাপ্রসাদের বাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদের দেখে আরও তীব্র হয় উত্তেজনা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়েন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাদের আলি খান।
এদিকে স্থানীয়দের পাল্টা অভিযোগ, রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ওই যুবক। তাঁর বেলুনে গ্যাস ভরার কাজের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। তাহলে তাঁকে ডেকে এধরনের কাজ কেন করতে দেওয়া হল।
তা ছাড়া লাইসেন্স ছাড়াই বেলুনে গ্যাস ভরার মতো বিপজ্জনক কাজ করতেন দুর্গাপ্রসাদ। নিজে পুলিশের সহকর্মী হয়ে বেআইনি কাজ করার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এলাকার মানুষ।
দুর্গাপ্রসাদকে নিয়ে যেতে চাইলে তাকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই পুলিশের উপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের সাফ কথা, দুর্গাপ্রসাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য প্রাণ গেছে ওই রাজমিস্ত্রির। তাই তাঁর পরিবারের দায়িত্ব ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিতে হবে।
এদিকে মৃত যুবকের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী এসব কাজ কোনওদিন করেননি। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।