শেষ আপডেট: 28th January 2025 14:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সিউড়ি। অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সিউড়ি থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। একরকম কলার ধরে তাঁকে নিয়ে যেতে দেখা যায় একদল দুষ্কৃতীকে। কোনও মতে তাঁকে উদ্ধার করেন অন্য পুলিশ কর্মীরা। জেলা থেকে এই ঘটনায় রিপোর্ট চাইল নবান্ন। স্বরাষ্ট্র দফতর রিপোর্ট তলব করেছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে বাবু আনসারি ও ইকবাল আনসারির গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বাবুর এক অনুগামীকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গেলে একদল দুষ্কৃতী তাকে ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। ওই দুর্বৃত্তদের হাত থেকে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। এই সময় সিউড়ি থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ফেলে আর এক দল দুষ্কৃতী। তাঁকে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি নিয়ে ধেয়ে যায় পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ১ দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন আরেক গোষ্ঠীর লোকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাবু আনসারি ও ইকবাল আনসারি দুজনেই এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী। এলাকা দখল নিয়ে তাদের সংঘর্ষে সারাক্ষণই গ্রামে অশান্তি লেগে থাকে। কীভাবে এত আগ্নেয়াস্ত্র ওই দুষ্কৃতীদের হাতে আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামের মানুষ। তাঁরা বলেন, "কাউকে তোয়াক্কা করে না ওরা। পুলিশকেও যে ওরা ভয় পায় না আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ।"
ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমরা দলগতভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি অভিযুক্তদের রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে।’’