অনুব্রত মণ্ডল
শেষ আপডেট: 24th September 2024 12:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: ২৫ মাসে পরে ফের নিজভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পরে আবেগঘন হয়ে পড়লেন 'বীরভূমের বাঘ'। এতদিন পরে তাঁর পার্টি অফিসের পুরনো সিটে বসতেই চোখের চলে ভাসালেন দুর্দোণ্ডপ্রতাপ নেতা। কান্নায় ভাসলেন মেয়ে সুকন্যাও।
সোমবারেই রাতে তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পান অনুব্রত মণ্ডল। বাবাকে নিতে তিহাড়ের গিয়েছিলেন সুকন্যা। অনুব্রত পায়ে হেঁটে জেলের গেট থেকে বেরতে বাবা জড়িয়ে ধরেন সুকন্যা। গাড়িতে করে হোটেলের দিকে রওনা হন দুজনে। ২টো ২০ ফ্লাইট ধরে ভোর রাতে কলকাতায় ফেরেন অনুব্রত ও সুকন্যা। এরপরে গাড়ি করে বোলপুরের দিকে রওনা হন।
বোলপুরে সকাল থেকে 'অকাল হোলি'তে মেতেছেন তৃণমূল কর্মীরা। সবুজ আবিরে মেখে উচ্ছ্বাসের মেতে ওঠেন অনুব্রত অনুগামীরা। নিচুুপট্টির বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি থামতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাড়িতে ঢুকে যান 'কেষ্ট'। পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে সারাক্ষণ বাবাকে আগলে রেখেছেন সুকন্যা।
এদিন নিচুপট্টির পার্টি অফিসে নিজের চেয়ারে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন অনুব্রত। কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে এখানেও বাবাকে কাছ ছাড়া করেননি সুকন্যা। এই বৈঠক চলার সময়েই সুকন্যা আবেগঘন হয়ে পড়েন। বাবার ঘনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। মেয়েকে এভাবে ভেঙে পড়তে দেখে নিজের আগে ধরে রাখতে পারেননি অনুব্রতও। তাঁর চোখেও জলে দেখা যায়। দুহাত দিয়ে চোখ মুছতে থাকেন। এদিন অবশ্য অনুব্রত ঘনিষ্ট হিসাবে স্থানীয়ে বেশ কয়েজনকে দেখা গেলেও চন্দ্রনাথ সিনহা, কাজল শেখকে দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, এদিন বাড়ি ফিরতে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছেন অনুব্রত। চা এবং ওআরএস খেয়েছেন। সুস্থ থাকলে বিকেল তাঁরা রাঙাবিতান যাওয়া করা রয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
এদিন নিচুপট্টির বাড়িতে ঢোকার মুখে অনুব্রত বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এখানে এসেছেন। তাঁকে আমি ভালোবাসি। দিদির আশীর্বাদে আমি ভালো আছি।"