শেষ আপডেট: 13th August 2024 15:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: আরজি কর কাণ্ডের পরে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলায়। এই ঘটনা নিয়ে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বহু সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে। তবুও যেন ফাঁক থেকে যাচ্ছে কোথাও। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা এমনই একটি উদাহরণ।
সোমবার গভীর রাতে লেডিজ হস্টেলের পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ল এক দুষ্কৃতী। তার মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। হস্টেলের আবাসিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা ওই দুষ্কৃতীকে তাড়া করলে, সে পাঁচিল টোপকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা পরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে। ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন আবাসিক ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লেডিজ হস্টেলের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। গোটা এলাকায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। রাত আড়াইটে নাগাদ কীভাবে ওই দুষ্কৃতী পাঁচিল দিয়ে হস্টেলে অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ প্রধান দরজার পাশেই রয়েছে সিকিউরিটি রুম। তবে রাতে কোনও নিরাপত্তারক্ষীর দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
আবাসিক পড়ুয়াদের কথায়, নজরদারি চালানোর জন্য হস্টেলের মেন গেটের দিকে তাক করা একটি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে সেটা আদৌ চলে কিনা আবাসিকরা জানেন না।
তাঁর অভিযোগ, হস্টেলের পিছন দিক আগাছায় ভরে গেছে। এইভাবে যেকোনও দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে অনায়াসেই সেখানে গা ঢাকা দিতে পারে। হস্টেলের পাঁচিল ৬ ফুট উঁচু। পাঁচিলের উপর কাঁটাতার নেই। মাটির উঁচু ঢিপি তৈরি হয়েছে কোথাও কোথায়। ফলে হস্টেলের চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা। যদিও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে।