Date : 22nd May, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
IPL 2025: ইডেন থেকে ফাইনাল সরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ অরূপ বিশ্বাস, বোর্ডকে আবাহওয়াবিদ বলে কটাক্ষকয়েক মাস আগেও ছিলেন ভিলেন, ইউরোপা লিগ জিতিয়ে টটেনহ্যামের স্বপ্নের নায়ক ব্রেনান জনসনকিস্তওয়ারে জঙ্গিদমন অভিযানে শহিদ এক জওয়ান, দু'তরফে এখনও চলছে গুলিবর্ষণবিয়ের পাঁচ বছর পরেও বাচ্চা হয়নি, মহিলাকে খুন করল শ্বশুর-শাশুড়ি! স্বামী সহ গ্রেফতার ৩পহলগাম উত্তাপের মধ্যে ভারতের পরমাণু বোমার রূপকার ‘কালাম’ আসছেন পর্দায়৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতের 'বিগ শপার'! আমেরিকার ব্র্যান্ডের কাণ্ডে অবাক নেটদুনিয়াMiyazaki Mangoes: এক কেজি আমের দাম দেড় লক্ষ টাকা, ভারতের কোথায় চাষ হচ্ছে এই 'মূল্যবান' ফল? 'আমেরিকা ছিল আমেরিকাতেই!' সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি ফের নস্যাৎ করলেন জয়শঙ্কর‘তুমি আমাদের ছোট করছ!’ লাইটম্যানদের সঙ্গে মাটিতে বসে খাওয়ার জন্য স্মিতাকে বলেন অমিতাভপহেলগাম হামলা হয়েছেই পাক সেনাপ্রধানের 'চরমপন্থী ধর্মনীতি'র কারণে: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

লকডাউনে ফিরতে পারেনি মাদ্রাসার পড়ুয়ারা, খাওয়ানোর দায়িত্ব নিল গুরুদ্বারা, সেবার নিদর্শন পঞ্জাবে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়েক লক্ষ মানুষ বিপদে পড়েছেন দেশজুড়ে আচমকা লকডাউন নেমে আসায়। স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু বাচ্চার খাবার বন্ধ হয়ে গেছে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও তাই। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সাহায্যকারী মানুষ এগিয়ে এসে পরস্পরকে সাহায্য করছেন

লকডাউনে ফিরতে পারেনি মাদ্রাসার পড়ুয়ারা, খাওয়ানোর দায়িত্ব নিল গুরুদ্বারা, সেবার নিদর্শন পঞ্জাবে

শেষ আপডেট: 5 April 2020 13:54

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়েক লক্ষ মানুষ বিপদে পড়েছেন দেশজুড়ে আচমকা লকডাউন নেমে আসায়। স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু বাচ্চার খাবার বন্ধ হয়ে গেছে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও তাই। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সাহায্যকারী মানুষ এগিয়ে এসে পরস্পরকে সাহায্য করছেন এই অবস্থায়। তবে শুধু এই অবস্থায় বলে নয়, দেশের যে কোনও বিপর্যয়েই সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন শিখরা। গুরুদ্বারা খুলে দেওয়া হয়, চালু করা হয় লঙ্গর। দলে দলে মানুষ সেবা পান সেখানে। এখনও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে পঞ্জাবের মালেরকোঠার হা দা নারা সাহিব গুরুদ্বারা মানুষের মন জিতে নিয়েছেন স্থানীয় মাদ্রাসার পড়ুয়াদের খাবারের ব্যবস্থা করে। জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে তাঁদের এই সেবার মনোভাবকে সকলে কুর্নিশ করছেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কোনও আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় মাদ্রাসার বাচ্চারা বিপদে পড়ে। বেশির ভাগ বাচ্চাই আশপাশের বাড়িতে ফিরে যেতে পারলেও, চল্লিশটি বাচ্চা বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হওয়ায়, তাদের ফেরা হয়নি। খবর পান ওই গুরুদ্বারার প্রধান গ্রন্থী, ভাই নরিন্দর পাল সিং। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, গুরুদ্বারার তরফে দু'বেলা খাওয়ানো হবে বাচ্চাগুলিকে। মাদ্রাসার মৌলভী সাহেব জানিয়েছেন, তাঁর বাচ্চাদের কথা ভেবেছে বলে গুরুদ্বারার কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, "হঠাৎ সব লকডাউন হয়ে গেল। ট্রেন বাতিল হয়ে গেল একের পর এক। আমরা কোনও ব্যবস্থা করারই সময় পাইনি। বাইরের বাচ্চাদের ঘরেও পাঠানো হয়নি। কিন্তু গুরুদ্বারা পাশে থেকেছে, দায়িত্ব নিয়েছে। ওঁরা সবসময়ই সেবায় বিশ্বাস করেন।"

গুরুদ্বারার দায়িত্বে থাকা কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, প্রতিদিনই দু'বেলা মিলিয়ে হাজার দেড়েক মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। স্থানীয় মহিলারাও এসে রান্নায় হাত লাগাচ্ছেন। সেখানে কয়েকটি বাচ্চার দায়িত্ব এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। তবে মাদ্রাসার বাচ্চারা গুরুদ্বারার নিয়ম মেনে খেতে অভ্যস্ত ছিল না এতদিন। এখন তা-ও হয়ে গেছে।

ভিডিও স্টোরি