সিভি আনন্দ বোস
শেষ আপডেট: 19 April 2025 08:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ-অশান্তির পর কার্যত বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। শনিবার জেলা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সামশেরগঞ্জ থেকে শুরু করে ধুলিয়ান, সুতির মানুষ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছেন রাজ্যপালকে। কিন্তু একই দিনে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ (Protest) দেখাল মুর্শিদাবাদের স্থানীয়দের একাংশ। অভিযোগ, রাজ্যপালের সঙ্গে কথাই বলতে দেওয়া হয়নি তাঁদের।
মুর্শিদাবাদ জেলার বেতবোনা গ্রামে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার ওপর দিয়ে গেলেও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ রাজ্যপালের গাড়িকে দাঁড়াতেই দেয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা। এই নিয়ে কার্যত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, অন্যান্যদের মতো তাঁরাও রাজ্যপালকে সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিলেন। তাঁদেরকেও ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং ওই এলাকাতেও স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চান তাঁরা। কিন্তু এইসব দাবির কথা তাঁরা জানাতেই পারেননি রাজ্যপালকে।
গোটা বিষয় নিয়ে পুলিশের পাল্টা যুক্তি, রাজ্যপাল কোথায়-কোথায় যাবেন তা ঠিক করে দেয় রাজভবন। যেখানে সেখানে মনে হলেই দাঁড়াতে পারে না তাঁর গাড়ি, তিনি নেমে ওইভাবে কথা বলতে পারেন না। যদিও এমন যুক্তি মানতে চাননি বেতবোনা গ্রামের স্থানীয়রা। তাঁরা বারবার বলছেন, অল্প সময়ের জন্য রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাই যেত। কিন্তু ইচ্ছে করে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
এদিন জেলা পরিদর্শনে বেরিয়েই জাফরাবাদে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাসের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। তারপর ওই এলাকায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে রাজ্যপালের সামনে সকলে কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ক্রমাগত। এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে ক্ষতি করা হবে বলে ভয় দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিএসএফ যতদিন আছে ততদিন তাঁরা সুরক্ষিত। তাঁরা চলে গেলেই ফের হামলা হতে পারে তাঁদের ওপর। তাই স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
রাজ্যপাল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রথমেই শান্তি ফেরানোর বার্তা দেন। বলেন, শান্তি ফেরানোই মূল লক্ষ্য। তাতে জোর দিতে হবে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবার তিনি আক্রান্তদের রাজভবনের পিসরুমের ফোন নম্বর দিয়েছেন। বলেছেন, কোনও অসুবিধা হলেই ফোন করতে।