শেষ আপডেট: 19th October 2024 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবারই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ডাক্তার তপোব্রত রায়। গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সহকর্মীরা। পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ পুলিশের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যে সরবও হয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত রায় চৌধুরীর কাছে জমা দেওয়া হল স্মারকলিপি।
শনিবার দুপুরে বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ও বরোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা পুরসভার প্রধান কার্যালয়ে এসে পৌঁছন। উপস্থিত ছিলেন তপোব্রতও। সূত্রের খবর, ডাক্তারদের তরফে মূলত তিনটি দাবি জানানো হয়। তার মধ্যে যেমন কলকাতা পুলিশকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে তেমনই ডাক্তার তপোব্রতকে আইনি লড়াইয়ে সম্পূর্ণভাবে সাহায্যের কথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
ডাক্তারদের আরও অভিযোগ, যেহেতু কর্মরত অবস্থায় তপোব্রতকে হেনস্থা করা হয়েছে সে কারণে কোনওভাবেই কলকাতা পুরসভা দায় এড়াতে পারে না। এরপরই নিজেদের ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার নিন্দার দাবিও জানান বিক্ষুব্ধ ডাক্তাররা।
দুর্গাপুজোর কার্নিভালে এমারজেন্সি ডিউটির জন্য পুরসভার মেডিক্যাল টিমের হয়ে উপস্থিত ছিলেন তপোব্রত রায় নামে ওই ডাক্তার। কিন্তু তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করেছিল ময়দান থানার পুলিশ। কারণ তিনি অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে ব্যাজ পরেছিলেন।
চিকিৎসক তপোব্রতকে আটকের নিন্দা করেনি পুর কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনার জন্য পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে হবে। এমনটাও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও সাড়া দেয়নি কলকাতা পুরসভা। তাই প্রতীকী অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন কলকাতা পুরসভার ডাক্তাররা। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে দুঃখপ্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়নি। তাই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কোনওরকম সাড়া না পাওয়ায় শনিবার পুরসভায় পৌঁছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। আরজি কর কাণ্ডে যেখানে উত্তাল রাজ্য, সেখানে কলকাতা পুরসভার ডাক্তারকে হেনস্থার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।