শেষ আপডেট: 24th February 2024 20:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খাতায় কলমে আইন আছে, আছে নিষেধাজ্ঞা। সঙ্গে আবার আইন না মানারও রীতি আছে। সেই দোষে শাসক -বিরোধী উভয়েই কাঠগড়ায়! অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই মাইক বাজিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রোজই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ট্যাবলো করে প্রচার চালানো হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০০ টাকা নয়, এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রতি মাসে রাজ্যের মহিলারা পাবেন ১০০০ টাকা। সঙ্গে তফসিলি জাতি এবং জনজাতির শ্রেণির জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করে হয়েছে মাসিক ১,২০০ টাকা। আর এই ঘোষণাই সকাল থেকে মাইকে ঢাকের বাজনা বাজিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। গুসকরা শহরে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। ট্যাবলোর প্রচারে দেখা যায়,৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা গুসকরা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগমও সামিল হয়েছেন। এই বিষয়ে আউশগ্রাম বিধানসভার বিজেপির কনভেনার চন্দ্রনাথ ব্যানার্জী বলেন, "যারা আইন মানাবে তারাই আইন ভাঙছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। আমরা প্রশাসনকে বলবো এইভাবে মাইক বাজানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।"
এদিকে শাসকদলের সাফাই, সাউণ্ড বক্স পাওয়া যায়নি, তাই মাইক বাজিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার করা হয়েছে। গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবব্রত স্যাম জানিয়েছেন, মাইকের আওয়াজ কমানো ছিল। ৬৫ ডেসিবেলের নীচে শব্দ ছিল। বিকেল ৪ টে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মাত্র ২ ঘন্টা প্রচার করা হচ্ছে। যদিও ওই সময়ে মাইক ব্যবহারের শিথিলতা আছে কি না প্রশ্ন করলে সেব্যাপারে শাসকদলের নেতাদের কাছে কোনও সদুউত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে শব্দ দানবের অত্যাচার শুধু গুসকরা নয়, পূর্ব বর্ধমানের আনাচেকানাচে সর্বত্রই কোথাও ডিজে আবার কোথাও মাইক বাজিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা পুজোর আয়োজন হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজানো নিয়ে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা করছেন না কেউই। অবাধেই দিনে তো বটেই রাতেও চলছে শব্দ দানবের চোখ রাঙানো।