শেষ আপডেট: 11th November 2024 21:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করলেও আন্দোলনের সময়কালে আন্দোলনরত পড়ুয়া চিকিৎসকদের অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে আগেই স্বাস্থ্যসাথীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার এ ব্যাপারে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে পদক্ষেপের দাবি জানাল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতোদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পাল্টা সংগঠন গড়ে আগেই থ্রেট কালচারের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন তাঁরা।
এবার জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অতনু বিশ্বাসের প্রশ্ন, 'যাঁরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না করে ভাতা নিলেন আবার বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিসও করলেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় কেন?'
সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কর্মবিরতির নামে প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করা জুনিয়র চিকিৎসকদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বক্তব্য, 'স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। সেখানে কেউ এরকম করে থাকলে নিশ্চয়ই শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তবে এ সব বলে নির্যাতিতার বিচারের আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়া যাবে না।'
ফ্রন্টের তরফে সৌম্যদীপ রায় বলেন, "মূল আন্দোলনের দিক থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশকে নিয়ে তৃণমূল একটি সংগঠন তৈরি করেছে। তারাই নানাভাবে মূল আন্দোলনকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলবে।" তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড ব্যবহার করে আন্দোলনের সময়কালে বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ৭৪ হাজার রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন। যাতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্য সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ ৫৪.৩৯ কোটি টাকা।
কারা ওইসময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করলেন, তাঁরা কর্মবিরতিতে যুক্ত ছিলেন কিনা, নাম ধরে ধরে ইতিমধ্যে সেই তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে খবর। এ বার এ নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জুনিয়র চিকিৎসকদের দুই সংগঠন।