শেষ আপডেট: 31st August 2024 13:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, তখন ১৫ অগস্টে লালকেল্লা থেকে ভাষণের পর ফের মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও উদ্বেগের বিষয়। মহিলাঘটিত অপরাধের দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
দিল্লিতে জেলা বিচারব্যবস্থার জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে পাশে বসিয়ে দেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মোদী। তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধ সমাজের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাই নারী সমাজের উপর যে কোনও অপরাধের মামলারই দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন বলে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মোদীর কথায়, নারীঘটিত অপরাধের যদি দ্রুত বিচার হয়, তাহলে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা অর্থাৎ মেয়েরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবে। তিনি আরও বলেন, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য দেশে অসংখ্য আইন আছে। ২০১৯ সালে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত আইন পাশ হয়েছিল। যার অধীনে সাক্ষ্য জমা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে জেলার পর্যবেক্ষক কমিটিগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। আমরা এই কমিটিগুলিকে আরও শক্তিশালী করার নিশ্চয়তা দিতে পারি। মহিলা নির্যাতনের মামলার যেভাবেই হোক দ্রুত বিচার দেওয়া চাই। যাতে বাকি মহিলারা অন্তত আশ্বস্ত হতে পারেন।
মোদী জোরের সঙ্গে বলেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তায় অনেক কঠিন আইন আছে। কিন্তু আমাদের উচিত সেগুলোকে আরও বেশি করে সক্রিয় বা প্রয়োগ করা। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এই কথাগুলো যেদিন বললেন, তার আগের দিনই, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীকে দ্বিতীয় আরেকটি চিঠিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানান। চিঠিতে তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান চেয়েও লেখেন প্রধানমন্ত্রীকে। মমতা এও অভিযোগ তুলেছেন যে, আগের চিঠির কোনও জবাব পাননি।
যদিও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী দুদফাতেই মমতার চিঠির জবাব দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে খোদ প্রধানমন্ত্রী সেই অভিযোগের জবাব দিলেন নিজের মুখে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, আইন থাকলেও তা যথা সময়ে প্রয়োগ ও সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানোই জরুরি। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের মাধ্যমে এ ধরনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা জরুরি। যাতে অপরাধী এবং নির্যাতিতা দুই পক্ষের কাছেই বার্তা যায়, নারী সুরক্ষায় কত কঠোর ভূমিকা নিতে পারে সরকার।