প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 26 February 2025 19:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদের দুটি স্কুলের (Schools) দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিকৃত যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে (Murshidabad POCSO Case)। তাতে শোরগোল রাজ্যের শিক্ষামহলে। ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নাকি ছাত্রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বাধ্য করতেন! যদিও এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলেছেন দুই শিক্ষিকা (Teachers)।
যে দু'টি প্রাথমিক স্কুলে তাঁরা চাকরি করেন, সেই দু'টি স্কুলই বহরমপুর পুরসভা দ্বারা পরিচালিত। শিক্ষিকাদের দাবি, পুরসভার অপকর্মর বিরুদ্ধে তাঁরা আওয়াজ তুলেছিলেন। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তাঁরা পরে আদায় করেন। এরপর থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
দুজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ছিল। সেই কারণে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তাঁরা। এলাকার প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা। পরে আদালতের রায়ের ফলে বেতন ফেরত পান দুজন। কিন্তু এখন ফের তাঁদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠল।
দুটি স্কুলের দুই ছাত্রের অভিভাবকের দাবি, তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে কুরুচিকর আচরণ করেছেন ওই দুই শিক্ষিকা। তাঁদের যৌন হেনস্থা করেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু'জনের বিরুদ্ধে পকসো আইন অনুসারে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পুলিশ তার তদন্তও শুরু করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে শিক্ষিকাদের সহকর্মীরা বিষয়টি মানতে নারাজ।