ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 16 August 2024 08:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এমনিতেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। সরকারের বিরুদ্ধে গলা তুলছেন রাজ্যের বড় সংখ্যক মানুষ। তার মধ্যেই সামনে এল ফের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি।
জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন জানান উত্তর ২৪ পরগনার চাকরি প্রার্থীরা। সেই মতো ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে বাতিল হয়ে যায়। যদিও পরে লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালে ১৮ মার্চ। ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ থাকায় প্যানেল প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলে অভিযোগ। শেষে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে প্যানেল প্রকাশ করতে বাধ্য হয় পর্ষদ। কিন্তু সেই প্যানেলে নাম না থাকায় তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চায় চাকরিপ্রার্থীরা।
তথ্যের অধিকার আইনে জানানো হয়, মামলাকারীর প্রাপ্ত নম্বর ২৮.৪৫। এর পরেও ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেখানে বলা হয়, উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২৬ হাজার ৫০টি নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৮০০টি শূন্যপদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে ২০২৪ সালের ২৪ জুন মামলাকারীদের প্রাপ্ত নম্বর-সহ ৮৭৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন। এবং তাদের শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
মামলাকারী সুমিত মুখার্জীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ৩৪ নম্বর প্যানেল প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ২৮.৪৩ এবং প্যানেলের শেষে নাম থাকা প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ১১.১২। এবং সর্বশেষ তালিকাভুক্ত নম্বর ৭.৩২। অথচ সুমিত মুখার্জীর ২৮.৪৫ থাকা সত্ত্বেও প্যানেলে কোথাও তাঁর নাম পাওয়া যায়নি। তাঁকে কোনওরকম নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বিচারপতি অমৃতা সিনার এজলাসে এই মামলার শুনানিতে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, একজন চাকরিপ্রার্থী ২৮.৪৫ পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পাননি। অথচ ১১ বা ৭ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় জায়গা মিলেছে। বর্তমানে তাঁরা চাকরিও করছেন।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান, আপনাদের দেওয়া তথ্যই বলছে মামলাকারী বেশি নম্বর পেয়েও স্থান পেলেন না, অথচ তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও অন্য একজন চাকরি করছেন। অগস্টের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে হবে বেশি নম্বর পেয়েও কেন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপত্র হাতে পেলেন।