ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 26 February 2025 11:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কুমোরটুলিতে (Kumartuli Case) ট্রলিব্যাগে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় (Trolley Murder Case) পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছিল, প্রৌঢ়ার মাথায় ইট মেরে তাঁকে খুন করা হয়। পরে গোড়ালি কাটা হয়েছিল যাতে দেহ ট্রলিব্যাগে ঢোকানো যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (Post Mortem Report) না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। বুধবারই প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে এবং তাতে কিছু ভয়ানক তথ্য রয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মৃতার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথা থেকে শুরু করে ঘাড়, দুই হাত, পায়ের গোড়ালি, সবেতে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। খুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং মাথায় রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্নও মিলেছে। শুধু তাই নয়, কাটা হয়েছিল দু-পায়ের নীচের অংশ এবং দুটি গোড়ালিও। এই কাজের জন্য বঁটি ব্যবহার করেছিলেন দুই অভিযুক্ত।
রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের ৪৮-৫০ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছিল। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট না এলে সে সম্পর্কে বেশ কিছু বলা যাবে না।
এই ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা মা-মেয়ে। নাম ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। নিহত মহিলা ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার প্রাথমিক তদন্ত বলছে, মধ্যমগ্রামের বাড়িতেই তাঁকে খুন করেন ফাল্গুনী। সঙ্গ দেন তাঁর মা। খুনের আগে তিনজনের মধ্যে বচসা হয়েছিল। রাগের জেরে পিসিশাশুড়ির মাথায় ইট মেরে ফাল্গুনী খুন করেন তাঁকে।
পুলিশকে ফাল্গুনী জানিয়েছেন, রাগের বশে পিসিশাশুড়িকে দেওয়ালে ধাক্কা মেরেছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। তারপর ওঠার পর ফের ঝামেলা শুরু হয়। তখনই তাঁর মাথায় ইট মারেন তিনি। মৃত্যু হয় পিসিশাশুড়ির। তবে বচসার সময়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল বলেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে। সে বিষয়ে অবশ্য পুলিশি জেরায় কিছু বলেননি কোনও অভিযুক্তই।
কেন এমন পরিকল্পনা ছিল ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষের? সম্পত্তির জন্যই কি খুন? বিষয়টি নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ইতিমধ্যে জানা গেছে, অসমের যোরহাট এবং কলকাতায় কিছু সম্পত্তি রয়েছে নিঃসন্তান সুমিতা ঘোষের। সে কারনেই তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সে কথা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বুধবার ঘটনার তদন্তে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, সেদিকে নজর থাকবে।