শেষ আপডেট: 15th July 2024 16:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ উল্টোরথ। সেই উল্টোরথের দিনেই সারা হল ঐতিহাসিক একুশে জুলাইয়ের খুঁটিপুজো। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রতিবারের মতোই খুঁটি পুজোর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিন নারকেল ফাটিয়ে খুঁটি পুজোর সূচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, 'আজ আমরা খুঁটিপুজো দিয়ে শহিদ স্মরণে শুরু করলাম।' আর এই পুজোর সঙ্গে সঙ্গেই ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেল।
সুব্রতবাবু এদিন বলেন, '২১ জুলাইয়ের আলাদা তাৎপর্য আছে।' তিনি মনে করিয়ে দেন, 'কংগ্রেসের পতাকা কাঁধে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি জীবন শুরু করেছিলেন। যুব সংগঠনের সভানেত্রীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পরিক্রমা করে তিনি অনুভব করেন, তৎকালীন সিপিএম মানুষের গণতন্ত্র কেড়ে নিচ্ছে। সে সময়ে সাড়ে ৭ কোটি বাংলার মানুষের সচিত্র পরিচয়পত্র দাবি করেছিলেন মমতা।'
সুব্রত বক্সির কথায়, 'মমতার সেই দাবিকে সামনে রেখে, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনেই ধর্মতলায় এক বিরাট সমাবেশ আয়োজিত হয়েছিল। কিন্তু তাতে জনজোয়ার দেখে তৎকালীন শাসকদল সিপিএম সংশয়ে পড়ে গেছিল। তারা অনুভব করেছিল, মানুষ মমতাকে ভরসা করছে নিজেদের কথা বলার জন্য।'
সুব্রতবাবুর দাবি, 'তাই বিনা প্ররোচনায় সেদিন সিপিএমের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালায়। সেই গুলিতে আমাদের ১৩ জন কর্মী নিহত হয়েছিলেন। আমরা আজও বলি, শহিদের রক্ত হবে না কো ব্যর্থ। সেই রক্ত ব্যর্থ হয়নি। কারণ তার পরের বছর থেকেই সচিত্র পরিচয়পত্রের কথা মেনে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আজ এই পরিচয়পত্রই সকলের সঙ্গী। এই পরিচয়পত্র মমতার আন্দোলনের ফসল, ১৩ জন শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা ফসল। তার পর থেকে ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে তর্পণ করা হয় ধর্মতলায়।'
কিছুদিন আগেই মিটেছে লোকসভা ভোট। বিরোধীশূন্য জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। উপনির্বাচনেও তৃণমূলের জয় ঈর্ষণীয়। জেলায় জেলায় উড়েছে সবুজ আবির, তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বাঁধন ছাড়া উল্লাসের ছবিও দেখা গেছে। ফলে এ বছরের একুশে জুলাই যে আরও খানিকটা স্পেশ্যাল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।