শেষ আপডেট: 22nd October 2024 18:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার রাত থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে চলেছে বাংলায়। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায়, এমন ইঙ্গিত রয়েছে। এই অবস্থায় নানাবিধ পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নিয়েছে পুরসভা, রাজ্য প্রশাসন। পদক্ষেপ নিতে দেরি করল না পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষও। জানানো হয়েছে, হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। এরই সঙ্গে অন্তত ১২ দফা পদক্ষেপ নিচ্ছে তাঁরা।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকতে পারে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ৯ জেলায় স্কুল বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিমধ্যে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পূর্ব রেলের তরফে এই দুই জেলার স্টেশনগুলির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, সাগর সংলগ্ন এলাকা যেমন হাসনাবাদ, নামখানা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড এইসব এলাকায় সুপারভাইজারি টিম রাখা হবে। পাশাাপশি, বিভিন্ন জায়গায় টাওয়ার ওয়াগানের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
কৌশিক আরও জানান, হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হবে ২৪ এবং ২৫ তারিখ। সেখানে সিনিয়র অফিসার থেকে শুরু করে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা থাকবেন, পরিস্থিতি মনিটরিং-এর জন্য। এছাড়া থাকবে আলাদা মেডিক্যাল টিমও। সাধারণ যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য স্টেশনগুলিতে সময়মতো কোনও দুর্যোগের খবর দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে। ট্রেনের ড্রাইভারদেরও অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেললাইনের ধারে থাকা বিভিন্ন ছোট-বড় হোডিং এবং গাছ সরিয়ে বা তুলে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া স্টেশনে স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৌশিক মিত্র।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ৭০০ কিলোমিটার মতো দূরে রয়েছে নিম্নচাপের অবস্থান। বুধবার সকালে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা। তারপর তার অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে হবে। পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ২৪ তারিখ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ২৫ তারিখ বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। উপকূলবর্তী এলাকাতে হাওয়ার গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার থাকবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সুন্দরবন ও সাগরদ্বীপ এলাকাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঝুপড়ি, কাঁচা ঘর, ইলেকট্রিক খুঁটি, গাছ ভাঙার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড়।