শেষ আপডেট: 20th February 2024 20:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আদালতে ইডি আগেই জানিয়েছিল, চাকরি কেনাবেচায় কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের ইডির দাবি, নিয়োগ মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় একাই একশো কোটি তুলেছিলেন!
কীভাবে এই টাকা প্রসন্ন তুলেছিলেন, এদিন আদালতে সেই সংক্রান্ত নথিও পেশ করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।
আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে পরিবহণ ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেও তাঁকে হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা। গত বছরের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান প্রসন্ন।
গত ১৮ জানুয়ারি প্রসন্নর ফ্ল্যাটে আচমকা পৌঁছে যায় ইডি। ফ্ল্যাট-সহ প্রসন্নর বিলাসবহুল অফিসেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এরপরই গত সোমবার রাতে প্রসন্নকে নতুন করে হেফাজতে নেয় ইডি।
এদিন আদালতে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের মূল সেতুবন্ধনের কাজ করতেন এই প্রসন্ন রায়। এজন্য তিনি ৯০টিরও বেশি সংস্থা খুলেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। নিয়োগ সংস্থার একাধিক নথি সম্প্রতি তাঁর অফিস এবং ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে বলেও আদালতে জানায় ইডি।
ইডি সূত্রের খবর, প্রসন্ন ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থর এক আত্মীয়র সঙ্গে বিয়ে হয়েছে প্রসন্নর। ইডি মনে করছে সেই সূত্রেই প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম দালাল। তাঁর অফিস হয়ে উঠেছিল টাকা লেনদেনের এপিসেন্টার।
বছর চারেক আগে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা খোলেন প্রসন্ন। সল্টলেকে সেই সংস্থার নাম আইডিয়াল কার রেন্টাল সার্ভিসেস। এই অফিসেই নিয়োগের দুর্নীতি হত বলে দাবি তদন্তকারীদের।