শেষ আপডেট: 15th April 2025 17:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকালে এক শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, মৃত শিক্ষককে চাকরিহারা শিক্ষকদের একজন বলে দাবি করে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। চাকরিহারাদের মধ্যে যার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন 'অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস'-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, যেকোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু প্রণব নাইয়া নামে যে শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে, তার সঙ্গে এসএসসির ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
চন্দনবাবুর কথায়, "কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট যেভাবে প্রণব নাইয়াকে ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসাবে চিহ্নিত করছে তা কেবল বিভ্রান্তিকরই নয়, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়ও। এই ধরনের ভুল তথ্য, বিশেষ করে এই ধরনের একটি সংবেদনশীল সময়ে, যখন চাকরিহারারা মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন তখন তা সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।"
প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কুলতলির বাসিন্দা প্রণব নাইয়া এসএসসির ২০১৩ সালের প্যানেলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন। ফলে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের সনাতন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
বিতর্কের সূত্রপাত, এদিন সকালে প্রণবের বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই মুখে মুখে রটে যায়, চাকরি হারিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। চন্দনবাবু বলেন, "শিক্ষকের কাজ ছাত্র গড়া। সেদিক থেকে আমরা আত্মহত্যার ঘটনাকে সমর্থন করি না। তবে কী কারণে উনি আত্নঘাতী হলেন সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখবে। কিন্তু ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের সঙ্গে যেভাবে তাঁকে জড়িয়ে অনেকে প্রচার শুরু করেছেন তাতে বাকি চাকরিহারাদের মধ্যেও মানসিক চাপ বাড়তে পারে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।" একই সঙ্গে এই ধরনের তথ্য পরিবেশনের আগে সকলকে আরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের আস্ত প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।