শেষ আপডেট: 22 August 2023 10:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার সকালে চন্দ্রযান নিয়ে অভিনেতা প্রকাশ রাজ (Prakash Raj) একটি ট্যুইট করেছিলেন। তাতে এক মালায়ালি চা বিক্রেতার ছবি দিয়ে প্রকাশ রাজ লিখেছেন, ‘ব্রেকিং নিউজ! চাঁদ থেকে পাঠানো বিক্রম ল্যান্ডারের (Chandrayan 3) প্রথম ছবি। ওয়াও!’
সেই টুইট দেখেই বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। চা বিক্রেতার ছবি দেওয়াতেই অনেকে দুয়ে দুয়ে চার করতে শুরু করেছিলেন। প্রকাশ বামপন্থী। ঘোরতর মোদী বিরোধী তিনি। তাই চাওয়ালার ছবি দেখেই কেউ কেউ ভেবে নিয়েছিলেন, চন্দ্রযান নিয়েও প্রকাশ খোঁচা দিচ্ছেন বুঝি। গেরুয়া শিবির তো বটেই, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি পর্যন্ত প্রকাশের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন।
শেষমেশ রাতে ফের একটি টুইট করেন প্রকাশ রাজ। তাতে তিনি লেখেন, যাদের মনে ঘৃণা রয়েছে, তারা সবেতেই ঘৃণা দেখতে পায়। আমি নীল আর্মস্ট্রং জমানার এক কৌতুকের কথা মনে করিয়ে দিতে চাইছিলাম মাত্র।
কেরলে ষাটের দশক থেকে একটা কৌতূক প্রচলিত রয়েছে। কাজের খোঁজে মালয়ালিরা ঐতিহাসিক ভাবেই গোটা বিশ্বে পারি দিয়েছেন। পশ্চিম এশিয়া তথা গাল্ফ রাষ্ট্রগুলিতে তারা ছেয়ে রয়েছে। কেরলে প্রচলিত কৌতূক হল, নীল আর্মস্ট্রং যখন তাঁদের অ্যাপোলো মহাকাশ যান নিয়ে চাঁদে পৌঁছন, তখন স্বাভাবিকভাবেই খুব উৎফুল্ল ছিলেন। অ্যাপোলো থেকে নামার আগে ভাবছিলেন, চাঁদে নেমে কীভাবে ক্যামেরার সামনে পোজ দেবেন। কারণ, তিনিই হতে চলেছেন প্রথম মানুষ, যিনি চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন। কিন্তু চাঁদে নেমে দেখেন একটা চায়ের দোকান। সেখানে একটা মালয়ালি চা বিক্রি করছে।
অর্থাৎ কাজের খোঁজে মালয়ালিরা চাঁদে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। পরবর্তীকালে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে বিহারেও এই কৌতূক সংক্রমিত হয়। বিহারেও এই এক গল্প প্রচলিত রয়েছে যে, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে নেমে দেখতে পান এক বিহারী চা বিক্রি করছেন। রাজ্যসভায় একটা বিতর্কে সেই গল্পের কথা বলেছিলেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা।
কিন্তু প্রকাশের এই কৌতুক না বুঝেই তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতের চন্দ্র অভিযানকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করায় ওই মামলা দায়ের হয়েছে। তবে যেহেতু প্রকাশ গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, তাই ওই মামলার তাঁর কোনও বিপদ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
চন্দ্রযানের সাফল্য কামনায় কেউ পুজো দিচ্ছেন, তো কোথাও ওয়াচ পার্টি, টানটান উত্তেজনায় ফুটছে দেশ