শেষ আপডেট: 3rd December 2024 12:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতির জেরে খোলা বাজারে একদিনেই কেজি প্রতি আলুর দাম বেড়েছে ২টাকা। ফলে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। এরই মধ্যে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানালেন, রাজ্যের সুফল বাংলার স্টলগুলি থেকে কেজি প্রতি ২৬ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে আলু। অসাধু আলু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ করছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বেচারাম বলেন, "প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ৪০ জন ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে হিমঘরে আলু মজুত রেখে কর্মবিরতি করে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।"
মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৬৫০ প্যাকেট আলু কিনে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য সেগুলিকে বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে। এজিনিস বরদাস্ত করা হবে না। একই সঙ্গে আগামী দু'দিনের মধ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বেচারাম।
কৃষি দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছরে রাজ্যে মোট ৫৮ লক্ষ ৮৪০০ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছিল। রাজ্যে প্রতিদিন
১৮ হাজার মেট্রিকটন আলু খরচ হয়। কলকাতায় প্রয়োজন হয় ৫০০০ মেট্রিক টন আলু। এর মধ্যে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য থেকে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৯৪ মেট্রিক টন আলু বাইরে পাঠিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এরপরই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রফতানিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য। প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নেমেছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। জট কাটাতে সোমবার খাদ্য ভবনে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না আলু ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ডাকেন। সেখানে দীর্ঘ আলোচনাতেও সমাধান সূত্র মেলেনি।ব্যবসায়ীদের দাবি হিমঘরে যে পরিমাণ আলু মজুত আছে তার মধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ মেট্রিকটন আলু উদ্বৃত্ত। যা ভিনরাজ্যে তারা পাঠাতে চাইছেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবারও বলেছেন রাজ্যের চাহিদা আগে মেটাতে হবে। তাঁর দফতরকে আড়ালে রেখেই ভিনরাজ্যে আলু রফতানির যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন 'বাংলায় আলুর দাম বাড়িয়ে অন্য রাজ্যে আলু পাঠিয়ে বাড়তি মুনাফা লুটবে, আর আমি ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করব, দুটো জিনিস একসঙ্গে চলতে পারে না। এই জিনিস আমি বরদাস্ত করব না।'
দু'পক্ষই পরস্পরের দাবিতে অনড় থাকায় আলুর জোগান এবং দাম নিয়ে জটিলতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।