শেষ আপডেট: 22nd September 2020 06:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সোমবার সন্ধ্যায় কৃষিবিল নিয়ে সংসদ চত্বরে মৌন মিছিল করছিলেন পাঞ্জাব থেকে নির্বাচিত কয়েকজন সাংসদ। আচমকা তাঁদের ওপরে চড়াও হয় পুলিশ। দু'পক্ষে ধাক্কাধাক্কি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পুলিশ এমপিদের পায়ে লাঠির ঘা মারে। পরে পুলিশ জানায়, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য রাস্তা ফাঁকা করছিল। প্রধানমন্ত্রী এদিন নির্ধারিত সময়ের আগে সংসদ থেকে বেরিয়েছিলেন। একটি সূত্রে জানা যায়, এদিন কংগ্রেসের চার সাংসদ কৃষি বিল নিয়ে কথা বলার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছিলেন। এক ব্যক্তির সেলফোনে তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, দিল্লি পুলিশে সাংসদদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলছে। সাংসদরা রাজি হচ্ছেন না। দু'পক্ষে তর্কাতর্কি হচ্ছে। এক এমপিকে বলতে শোনা যায়, "আপনারা ঠিক করছেন না।" পরে দিল্লি পুলিশের এক অফিসার জানান, তাঁদের রাস্তা ফাঁকা করতে বলা হয়েছিল। তাছাড়া এমপিরা বিক্ষোভ দেখানোর আগে অনুমতি নেননি। এর পাশাপাশি সোমবার থেকে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া আট এমপি। তাঁরা হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সাতভ, সৈয়দ নাসির হুসেন, রিপুন বরেন, সিপিএমের কে কে রাগেশ, এলামারান করিম। তাঁরা এক সপ্তাহ রাজ্যসভার অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। সোমবার রাজ্যসভায় তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করার পরেই তাঁরা সংসদ চত্বরে প্রতিবাদে বসেন। তাঁদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, 'আমরা কৃষকদের জন্য লড়াই করব', 'পার্লামেন্টকে খুন করা হয়েছে'। আট এমপি সংসদ চত্বরে কাপড় বিছিয়ে ধরনায় বসেছেন। তাঁদের সঙ্গে আছে বালিশ, কম্বল, দু'টি ফ্যান এবং মশা তাড়ানোর ধুপ। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, সমাজবাদী পার্টির জয়া বচ্চন এবং কংগ্রেস নেতা আহমদ পটেল। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং আট এমপির সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা ধরনায় বসেন। ডেরেক ওব্রায়েন জানান, বিরোধী এমপিরা অনেকে বাড়ি থেকে তাঁদের জন্য খাবার পাঠাচ্ছেন। প্রতিবাদীদের মধ্যে দু'জনের বয়স ৬৫-র বেশি। তাঁরা হলেন রিপুন বরেন ও এলামারান করিম। তাঁরা ডায়াবেটিসের রোগী। যেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তার কাছেই দাঁড়িয়ে আছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। সঞ্জয় সিং বলেন, "মোদী সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট তাদের হাতে না থাকা সত্ত্বেও কৃষি বিলগুলি পাশ করানো হল কেন? যতক্ষণ না সরকার ব্যাখ্যা দিচ্ছে, আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।"