শেষ আপডেট: 1st April 2020 13:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন সন্দেহে যাঁদের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে, তাঁরা অনেক সময় বাইরে বেরোচ্ছেন। এই প্রবণতা আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে দিল্লি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বুধবার জানিয়েছেন, এবার থেকে যাঁরা হোম কোয়ারান্টাইনে থাকবেন, তাঁদের মোবাইলে নজর রাখবে পুলিশ। অর্থাৎ তাঁরা বাড়ি ছেড়ে বেরোলেই জানতে পারবে পুলিশ। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ৫০ হাজার ফোন নম্বর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল ১১ হাজার নম্বর। বুধবার দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার। কেজরিওয়াল জানান, সিঙ্গাপুরেও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, কোনও স্বাস্থ্যকর্মী যদি কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান, তাঁর নিকটাত্মীয় ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "যুদ্ধের সময় সৈনিকরা দেশকে রক্ষা করে। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নেয়। সারা দেশ তাঁদের কাছে ঋণী থাকে। এখন স্বাস্থ্যকর্মীরা যে কাজ করছেন, তা সৈনিকদের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। তাঁরা দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।" পরে তিনি বলেন, "দিল্লি সরকার আগেই ঘোষণা করেছে, যদি কোনও সৈনিক দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে মারা যান, তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আজ আমি ঘোষণা করছি, কোনও স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, ডাক্তার অথবা নার্স যদি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হন, তাঁদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা সরকারি অথবা বেসরকারি, যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, তাঁদের পরিবার ওই অর্থ পাবে।" দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২০ জন। একরাতের মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৪০। গত ১২ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৩৭। এর মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩২ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে ৩০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। এই রাজ্যে ২৪১ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যাও সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।