শেষ আপডেট: 12th March 2025 13:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুক্তারামবাবু স্ট্রিটের ব্যবসায়ী খুনের তদন্তে(Ghola Case) নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন করণ সিং ও কৃষ্ণ পাল সিংয়ের থেকে চুড়িদারের পিস কিনতেন ব্যবসায়ী(businessman death) ভাগারাম সিং। ৮ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল ভাগারামের। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ধারের টাকা ফেরত চাইতেন দুই অভিযুক্ত। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করে অভিযুক্তরা। গিরিশপার্কে ভাড়াবাড়িতে প্রথমে কফির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ভাগারামকে খাওয়ানো হয়। অচৈতন্য হয়ে গেলে তাঁকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানান, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলার নলি কেটে মৃতদেহ ট্রলি ব্যাগে(trolley bag) করে প্রথমে নাগেরবাজারে নিয়ে যায় তারা। তারপর নাগেরবাজার থেকে আবার ক্যাব ভাড়া করে ট্রলিবন্দি দেহ কল্যাণী এক্সপ্রেস ধরে ঘোলা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাব চালক রাস্তার পাশে পুলিশের গাড়ি দেখে গাড়িটিকে দাঁড় করায় তখনই এক অভিযুক্ত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে জাপটে ধরেন ক্যাব চালক। অপর অভিযুক্ত সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই অভিযুক্তর ফোন ট্র্যাক করে তাকে গ্রেফতার করে ঘোলা থানার পুলিশ। নিহত ভাগারাম ও অভিযুক্ত কৃষ্ণপাল সিং ও করণ সিং, প্রত্যেকেই রাজস্থানের বাসিন্দা। ব্যবসায়িক সূত্রে গিরিশ পার্কে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা।
মঙ্গলবার রাতে দমদম নাগেরবাজার থেকে একটি অ্যাপ ক্যাবে ওঠেন দুই যুবক। সঙ্গে ছিল একটি ট্রলি ব্যাগ ও একটি বস্তা। গন্তব্য ছিল ঘোলার মহিষপোতা সংলগ্ন কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। নির্জন এলাকায় গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেন তাঁরা এবং গাড়ির ডিকি থেকে ট্রলি ব্যাগ নামান।
ব্যাগের অস্বাভাবিক ওজন দেখে সন্দেহ হয় চালকের। তিনি জানতে চান, ব্যাগের ভেতর কী রয়েছে এবং কেন নির্জন জায়গায় তাঁকে গাড়ি থামাতে বলা হল! এরপরই দুই যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোলা থানার টহলদারি পুলিশের গাড়ি সেখানে পৌঁছে যায়। পুলিশ দেখেই এক যুবক পালিয়ে যান, কিন্তু অপর যুবককে ধরে ফেলেন ক্যাব চালকই।
ট্রলি ব্যাগ খুলতেই দেখা যায়, ভেতরে একটি যুবকের দেহ, যার মুখ সেলোটেপ দিয়ে মোড়ানো। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘোলা ও নাগেরবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ব্যাগের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র ও ৬৫ হাজার টাকা।
কয়েকদিন আগে, কুমোরটুলিতে এক মহিলার কোপানো দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। মধ্যমগ্রামে খুনের পর ওই দেহ কুমোরটুলিতে আনা হয় বলে জানা যায়। ওই ঘটনায় এক মহিলা ও তার মেয়েকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার পরে ফের ঘটে গেল ট্রলিব্যাগ কাণ্ড।