সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার।
শেষ আপডেট: 13th December 2024 18:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক সপ্তাহের ব্য়বধানে রাজ্যের দুটি ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত।
জয়নগরের ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা হতে সময় লেগেছিল ৬২ দিন। আর ফরাক্কার ঘটনায় আরও একদিন কম, অর্থাৎ ৬১ দিনের মাথায় শুক্রবার এক অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। ফরাক্কার ঘটনায় মাত্র ২১ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। দুটি ঘটনাতেই পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছে আদালত।
শুধু তাই নয়, এত দ্রুত কীভাবে দুটি ধর্ষণ খুনের মামলার বিচার নিষ্পত্তি হল, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশের। ইতিমধ্যে তাঁরা এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন খোদ রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার।
এদিন সুপ্রতীম বলেন, "এমন স্পর্শকাতর ঘটনায় এত দ্রুত বিচারের নজির অতীতে এরাজ্যে নেই। ভারতবর্ষে এর আগে এরকম দ্রুত বিচারের ক'টি ঘটনা আছে বা আদৌ আছে কিনা জানি না। তবে ইতিমধ্যে দেশের একাধিক রাজ্য থেকে আমাদের কাছে আনঅফিসিয়ালি খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তাঁরা সকলে জানতে চাইছেন, কীভাবে, এত দ্রুত আমরা বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলাম। যাঁরা তথ্য চাইছে আমরা তাঁদের তথ্য দেব।"
একই সঙ্গে তিনি জানান, জয়নগর-ফরাক্কার ঘটনার তদন্তের কেস স্টাডি 'ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডিপার্টমেন্ট' এ পাঠানো হবে।
বস্তুত, আরজি কর কাণ্ডের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কলকাতার পাশাপাশি জেলা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। সেদিক থেকে জয়নগর-ফরাক্কা, দুটি ধর্ষণ খুনের মামলায় দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাজ্য তো বটেই দেশের বুকেও এরাজ্যের পুলিশ নজির গড়ল বলে এদিন দাবি করেছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।
তবে এ নিয়েও অবশ্য পুলিশকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না জনতার একাংশ। তাঁদের কথায়, "তার মানে পুলিশ চাইলে সব পারে। তাহলে সব ক্ষেত্রে এমন স্বদিচ্ছা দেখা যায় না কেন?"