শেষ আপডেট: 5th February 2025 15:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় পেরলেও দত্তপুরের মৃত যুবকের পরিচয় জানতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় পুলিশের। এখনও কাটা মুন্ডু উদ্ধার করা যায়নি। মাথার সন্ধানে লাগাতার তল্লাশিও চালিয়েছে পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ, তবুও মেলেনি কিছুই। তাই উদ্ধার হওয়া যুবকের বাঁ হাতেই এখন নজর তদন্তকারীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, দত্তপুকুরে নিহত যুবকের বাঁ হাতে একটি ট্যাটু রয়েছে। তাতে একটি হার্ট সাইন ও ইংরেজিতে বড় বড় করে ‘বি’ শব্দ লেখা রয়েছে। সেখান থেকেই যুবকের কোনও পরিচয় পাওয়া যায় কি না, এখন সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। জানা গেছে, দত্তপুকুরের কোথাও কোনও মানুষ নিখোঁজ কি না সে খবর বুধবার সকাল থেকেই নিতে শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান মৃত যুবকের বয়স ৪০-এর কাছাকাছি।
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ছোট জাগুলিয়ার মালিয়াকুর বাজিতপুর এলাকার একটি ফাঁকা জমিতে মুন্ডুহীন দেহ দেখতে পান কৃষকেরা। জমির পাশে পড়ে ছিল দেহটি। গোটা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। উপড়ে নেওয়া হয়েছিল যৌনাঙ্গ। মৃতের হাত-পা বাঁধা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা মদের গ্লাস, চিপসের প্যাকেটও খুঁজে পায় পুলিশ। শুরু হয় কাটা মুন্ডুর খোঁজ। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি হয়েছে। খালে ডুবুরি নামানো হয়। কিন্তু কাটা মুন্ডুর হদিস মেলেনি। মঙ্গলবার বারাসতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গিও গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে।
পুলিশ মনে করছে মৃত যুবক এলাকার কেউ নন। কারণ তিন দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও যুবকের নামে কোনো মিসিং ডায়েরি হয়নি। যদিও মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। পাশাপাশি ভয়ঙ্কর ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার থানাগুলিকে ট্যাটুর ছবি পাঠিয়ে দিয়েছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের কাটা মুন্ডু পাওয়া গেলে সেটির ময়নাতদন্ত হবে। তারপর ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে সেটা যুবকের কি না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। খুনের পাশাপাশি দেহ পোড়ানোরও চেষ্টা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সময় যত গড়াচ্ছে ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।