শেষ আপডেট: 18th February 2025 11:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দত্তপুকুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জলিলের বয়ান থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। সোমবার জানা গেছিল, চুরির সামগ্রী ভাগ-বাটোয়ারার জেরে হজরতকে খুন করেছিল জলিল, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে নয়। তবে সম্প্রতি এমন তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জলিল পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল হজরতের। রাগের বশেও তাকে খুন করেছে সে।
পুলিশ আগেই জানতে পেরেছিল, একসময়ে এলাকার ত্রাস ছিল হজরত। একটি দলের সদস্য ছিল যারা চুরি-ডাকাতি করত। তবে কয়েক বছর আগে হজরত মূল স্রোতে ফিরে এসে 'পুলিশ সোর্স' হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। তার সূত্রেই ধরা পড়ে সেই দলের এক সদস্য, তারই মাসতুতো ভাই ওবায়দুল্লা। এরপর থেকেই হজরতের ওপর নজর রাখত জলিল। পরে চুরি করা সোনা নিয়ে ঝামেলার সূত্র ধরে তাকে খুন করে সে।
পরে জলিল জেরায় জানিয়েছে, তার স্ত্রীর সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল হজরতের। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সে কথা শোনেনি। উল্টে তার স্ত্রী সুফিয়াকে যৌন নির্যাতনও নাকি করত হজরত! একদিকে চুরির বস্তু নিয়ে ঝামেলা, অন্যদিকে স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, সব মিলিয়ে হজরতের ওপর ক্ষোভ বেড়েই চলছিল জলিলের। তার জেরেই তাকে নৃশংস হত্যা করে সে, এমনটাই পুলিশকে জানিয়েছে জলিল।
কেউ যাতে হজরতের দেহ শনাক্ত না করতে পারে সেই কারণেই তার মুন্ডু কেটে নিয়েছিল তারা। ধড় থেকে মাথা আলাদা করার সময়ে জলিলের সঙ্গ দিয়েছিল তার স্ত্রীও! আপাতত পুলিশ জলিলের বাড়ির সামনের পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে কাটা মাথার খোঁজ চালাচ্ছে। অনুমান সেখান থেকেই হজরতের দেহাংশ মিলতে পারে।
মৃত যুবকের পরিচয় জানতে 'বাঁ হাত'-এর ওপর ভরসা করেছিল পুলিশ! সেই হাতের ট্যাটু দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই সূত্র ধরেই তার পরিচয় জানা যায়। কিন্তু এখনও কাটা মাথা না মেলায় রহস্যের কিনারা করতে পারছে না পুলিশ।