শেষ আপডেট: 10th November 2024 23:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে পদ্মনেতা খুনের ঘটনায় ধৃত প্রেমিকাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জোর করে বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ নস্কর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়েছিলেন। তার থেকে নিজেকে বাঁচাতে যৌনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমিকা। পরে সেখান থেকে পালানোর সময় পার্টি অফিসের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
রোববার সুজাতাকে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। বিচারক ধৃতের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুজাতা জেরায় জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পৃথ্বীরাজের। ৬ বছর ধরে তাঁরা প্রেম করেছেন। সম্প্রতি পৃথ্বীরাজ একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাতে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। সুজাতাকে সোমবার রাতে পার্টি অফিসে ডাকেন পৃথ্বীরাজ। সুজাতা সেখানে গেলে ওই ঘটনা ঘটে।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সুজাতা জানিয়েছেন পার্টি অফিসের ভিতরে তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন পৃথ্বীরাজ। বাধা দিতে পাশের টেবিলে পড়ে থাকা ব্লেড দিয়ে বিজেপি নেতা যৌনাঙ্গে আঘাত করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পৃথ্বীরাজ। এর পরপরই সেখান থেকে সুজাতা পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন পার্টি অফিসের দরজা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে এই নেতা নিখোঁজ ছিলেন বলে খবর। শুক্রবার বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। পৃথ্বীরাজ মথুরাপুরের বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কনভেনারের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, গত রবিবার ভাইফোঁটা নিতে বোনের কাছে গেছিলেন তিনি। তারপর বাড়ি ফেরার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও পরের দিন থেকে আর তা সম্ভব হয়নি। পৃথ্বীরাজের কাছে তিনটি ফোন থাকত বলে জানিয়েছে পরিবার। তবে দাবি, সোমবার থেকে কোনও ফোনেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, তিনটি ফোনের মধ্যে কোনওটাই সব সময় বন্ধ ছিল না। কখনও বেজে বেজে কেটে যাচ্ছিল, কখনও বন্ধ করে রাখা হচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার রাতে পৃথ্বীরাজের দেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা।