শেষ আপডেট: 17th February 2025 14:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হজরত লস্কর নামে এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল দত্তপুকুরে। সেই ঘটনায় আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিহতের মাসতুতো ভাই ও তার স্ত্রীকে। তথ্য মিলেছিল, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ঘটনার মূলচক্রী জলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে বড় তথ্য পেয়েছে তাঁরা। ত্রিকোণ প্রেমের কারণে এই ঘটনাই নাকি ঘটেনি।
যুবককে নৃশংসভাবে খুন করে জম্মু-কাশ্মীরে পালিয়েছিল জলিল। ধরা পড়ার ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিল সে। অবশেষে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এখন তাকে জেরা করে জানা গেছে, চুরি করার সোনার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েই ঝামেলা হয়েছিল দুজনের মধ্যে। তার জেরেই হজরতকে খুন করেছে জলিল।
পুলিশ আগেই জানতে পেরেছিল, একসময়ে এলাকার ত্রাস ছিল হজরত। একটি দলের সদস্য ছিল যারা চুরি-ডাকাতি করত। তবে কয়েক বছর আগে হজরত মূল স্রোতে ফিরে এসে 'পুলিশ সোর্স' হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। তার সূত্রেই ধরা পড়ে সেই দলের এক সদস্য, তারই মাসতুতো ভাই ওবায়দুল্লা। এরপর থেকেই হজরতের ওপর নজর রাখত জলিল। পরে সোনা নিয়ে ঝামেলার সূত্র ধরেই তাকে খুন করে সে।
জলিলকে জেরা করে আরও জানা গেছে, কেউ যাতে হজরতের দেহ শনাক্ত না করতে পারে সেই কারণেই মুন্ডু কেটে নিয়েছিল তারা। ধড় থেকে মাথা আলাদা করার সময়ে জলিলের সঙ্গ দেয় তার স্ত্রীও! কিন্তু এখনও পর্যন্ত হজরতের কাটা মুন্ডু কোথায় রয়েছে, তার খোঁজ পায়নি পুলিশ। এখন তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবা হচ্ছে।
হজরতের গোটা শরীরে ক্ষতচিহ্ন ছিল। উপড়ে নেওয়া হয়েছিল যৌনাঙ্গ! মৃতের হাত-পাও বাঁধা ছিল। মৃত যুবকের পরিচয় জানতে 'বাঁ হাত'-এর ওপর ভরসা করেছিল পুলিশ! সেই হাতের ট্যাটু দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই সূত্র ধরেই তার পরিচয় জানা যায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সামনে থেকে গলা কেটে খুন করা হয় ওই যুবককে।