শেষ আপডেট: 26th July 2024 16:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলা ও বিহারের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। শুক্রবার নিশিকান্তর ওই দাবিতে ১৬ আনা সমর্থন জানিয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, নিশিকান্ত যথার্থ দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে গৌরীশঙ্কর এও বলেন, ২০২২ সালের ১৮ অগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়ে প্রথম এই দাবি তিনিই জানিয়েছিলেন। বিজেপি বিধায়কের কথায়, "ওই বছর ১৫ অগস্টের দিনে আমার বিধানসভার একটা ক্লাবের অনুষ্ঠানে দেশের জাতীয় পতাকা তুলতে দেয়নি পুলিশ। তারপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে, মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি জানিয়েছিলাম।"
তাঁর অভিযোগ, "তৃণমূলের জমানায় অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত। মুর্শিদাবাদ জেলার বহু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। নেই আইনি সুরক্ষাও। তার ওপর পুলিশ দেশের জাতীয় পতাকা তুলতে দিচ্ছে না। কোন দেশে বাস করছি? তাই বলব, যত দ্রুত সম্ভব মুর্শিদাবাদ এবং মালদহকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।"
একই সঙ্গে গৌরীশঙ্করের আরও দাবি, "এটা রাজ্য ভাঙার বিষয় নয়, যেখানে আইনের শাসন লাগু হচ্ছে না, যেখানে জেহাদিরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেখানে আইনের শাসন কার্যকর করার জন্য এটা দরকার।"
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্ত বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, পশ্চিমবাংলার মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এবং বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার এই তিন জেলায় হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। এমনকী বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মালদহ ও মুর্শিদাবাদের গ্রামের গ্রাম খালি করে দিচ্ছে বলেও সংসদে অভিযোগ করেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, "উনি ঠিক কথায় বলেছেন। তাই তো বাংলা সীমান্তের ৭২টি জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতার লাগাতে অনুমতি দেয়নি মমতার সরকার।"
প্রসঙ্গত, বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্ব পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, "আমার অসমে ৪০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা। যেভাবে অনুপ্রবেশ বাড়ছে তাতে আগামীদিনে হিন্দুদের থাকাটাই দুরূহ হয়ে উঠবে।" হিমন্ত এও বলেছিলেন, "এটা আমার রাজনৈতিক ইস্যু নয়, মরণ বাঁচনের লড়াই।" যদিও বাংলাভাগের চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।