শেষ আপডেট: 27th August 2024 15:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আশঙ্কায় সত্যি হল। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হল নবান্ন সংলগ্ন একাধিক এলাকায়। আক্রান্ত হলেন পুলিশের একাধিক কর্তা, কর্মী।
এদিন দুপুরে আন্দোলনকারীদের ছোড়া পাথরের ঘায়ে হাওড়া ময়দানে মাথা ফেটেছে চণ্ডীতলা থানার সার্কেল ইন্সপেক্টরের। সাঁতরাগাছিতে আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্তা ও কর্মী। ব়্যাফেরও কযেকজন জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন হামলাকারীরা পুলিশের ৩ জন কর্মীকে একা পেয়ে তাঁদের ওপর হামলা শুরু করে। হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটে। এরপরই নবান্ন সংলগ্ন এলাকার দুদিকে পাল্টা প্রতিরোধের পথে নামে পুলিশ। হেস্টিংসেও পুলিশের কয়েকজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিন দুপুরে নবান্নের ১০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছে যায় আন্দোলনকারীরা। পুলিশের তরফে বারবার মাইকিং করে পিছিয়ে যেতে বললেও আন্দোলনকারীরা তা শোনেননি বলে অভিযোগ। বরং শরৎ চট্টোপাধ্যায় রোড ধরে তাঁরা নবান্নের ৬ নম্বর গেটের দিকে এগোতে শুরু করেন 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দিয়ে। অভিযোগ, ভিড় থেকে পুলিশকে ইট, এমনকি পাথরও ছোড়া শুরু হয়।
এরপরই পুলিশের তরফে পাল্টা প্রতিরোধ গড়া হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফা্টানোর পাশাপাশি লাঠিচার্জও শুরু করে পুলিশ। এরপরই পিছু হঠতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজ্য পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। কারণ, একে তো কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়নি। নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে কোনও আবেদন জানানো হয়নি। তাই পুলিশ কোনও অনুমতি দেয়নি। তবে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেনি পুলিশ।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, বেলা থেকেই আন্দোলনকারীদের হাতে বারে বারে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের একাধিক কর্তা। তবু আন্দোলনকারীদের শান্ত করার জন্য পুলিশ ধৈর্য্য বজায় রেখেছিল। আন্দোলনকারীরা নবান্নের একেবারে কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছে যাওয়ার পরও তাঁদের বারে বারে বোঝানো হয়েছিল। তা না শুনে পাল্টা ইট, পাথরের হামলা হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা, কর্মী জখম হওয়ার পরই বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ করে আন্দোলনকারীদের পিছু হঠানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, নবান্নের যে এলাকায় আন্দোলনকারীরা পৌঁছে গিয়েছিলেন, ওই ব্যারিকড ভাঙলে অনায়াসে আন্দোলনকারীরা নবান্নের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন। সে কারণেই পুলিশের পাল্টা প্রতিরোধ বলে মনে করা হচ্ছে।