জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ
শেষ আপডেট: 1 October 2024 16:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঠিক যেদিন আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল, সেই রাতেই কল্যাণীর এক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন এক অধ্যাপক।
৯ অগস্ট রাতে কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। নির্যাতিতা মেডিক্যাল কলেজের ওই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যার ভিত্তিতে পুলিশ ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে।
আরজি কর হাসপাতালের বিভৎস ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন মেডিক্যালের ওই ছাত্রী। সেখানকার প্রতিবাদ মঞ্চেই তিনি কেঁদে ফেলেন। তারপর সহকর্মীদের জানালে তাঁরাই তাঁকে সাহস যোগান আর ১৩ অগস্ট স্থানীয় থানায় অভিযোগ দেয়ার করেন।
অভিযোগ পেয়ে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সংক্রান্ত মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অধ্যাপকের আইনজীবী সওয়াল জবাবের সময় অভিযুক্তের জামিনের কথা তোলেন। কিন্তু উচ্চ আদালত জামিন নাকচের ইঙ্গিত দিতেই সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, এমন কিছুই ঘটেনি সেদিন রাতে। ছাত্রীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল খানিকটা। এরপর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, যেহেতু চার্জশিট ফাইল হয়ে গেছে, এবার ছাত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ হবে, তাই এই অবস্থায় জামিন দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে, জন্য যাচ্ছে কল্যাণীর ওই মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন অধ্যক্ষ তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেন। একদিনের মধ্যেই তার রিপোর্টও জমা পড়ে। সেই রিপোর্টও পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে এখন প্রতিবাদের ঝড় বইছে। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চিত রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে দশ দফা দাবি রেখে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা। এসবের মধ্যেই আরও এক যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে এল।