শেষ আপডেট: 11th February 2024 12:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সকালে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। এরপর বিকেলেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরই মধ্যে সন্দেশখালিতে নতুন 'টুইস্ট'। শনিবার রাতে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ সিং-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর রবিবার সকালে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে কলকাতা পুলিশ এলাকা থেকে আটক করল পুলিশ।
আড়ালে থেকেও সক্রিয় শিবপ্রসাদ হাজরা। তাঁর পোলট্রিতে আগুন ধরানোর অভিযোগে সন্দেশখালি থানায় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ। পুলিশ সূত্রের খবর, শিবপ্রসাদের অভিযোগে এক নম্বরে উল্লেখ ছিল নিরাপদ সর্দারের নাম। সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের মদতে তাঁর অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন শিবপ্রসাদ। সেই তদন্তে নেমে সন্দেশখালি থানার পুলিশ শনিবার রাতে বিজেপি নেতা বিকাশ সিং-কে গ্রেফতার করে। এরপর রবিবার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে আটক করা হয়।
গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। ওইদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের কয়েকশো মহিলা। সন্দেশখালি থানা ঘোরাও করেন তাঁরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আর এই অশান্তির ঘটনাতেই ধৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে বিকাশ সিং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের কনভেনারের দায়িত্বে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি থানার সামনেই বাড়ি বিকাশ সিং-এর বাড়ি। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে বাড়ি থেকে প্রথমে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রাতের দিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, সন্দেশখালিতে হিংসার ছড়ানোর পিছনে হাত রয়েছে এই বিকাশের। মূলত, গ্রামবাসীদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, রবিবার সকালে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে কলকাতা পুলিশ এলাকা থেকে বসিরহাট থানার একটি বিশেষ দল সন্দেশখালিতে নিয়ে আসছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার থেকে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। চারিদিকে থমথমে পরিবেশ। আরেক তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এখনও ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার দিনভর আসরে নামে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের মতো রাজ্যের বিরোধী শিবির। বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা ‘উস্কানি’র অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। আর সেই আবহে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বসিরহাটে বিজেপির বিভিন্ন আন্দোলনে বরাবরই সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে বিকাশকে। কলকাতার বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে তাঁকে গ্রেফতারের পরই শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতর।