শেষ আপডেট: 2 October 2022 07:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাবালিকাকে (Minor) যৌন নির্যাতন (sexual Harassment), তাও কিনা লাগাতার দু'বছর ধরে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই সম্প্রতি এমন রায় (order) দিয়েছেন বিচারক, যা কার্যত 'নজিরবিহীন' বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আনন্দন পি আর নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৪২ বছরের (142 years) কারাদণ্ডের (conviction) নির্দেশ দিয়েছে আদালত (court)!
ঘটনাটি কেরলের পানাথানামথিত্তা জেলার। আনন্দন ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ১০ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, গত দু'বছর ধরে লাগাতার ওই নাবালিকা তার বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়ে এসেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, বাবু নির্যাতিতা শিশুটির পরিবারের আত্মীয়। তাদের বাড়িতেই থাকতো সে। সেই সুযোগেই ২০১৯ সাল থেকে টানা দু'বছর শিশুটিকে নিশংস ভাবে যৌন নিগ্রহ করে গেছে সে।
ঘটনা জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির পরিবার। তার ভিত্তিতেই অভিযুক্ত আনন্দনের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেন থিরুভাল্লা থানার ইন্সপেক্টর হরিলাল। অভিযুক্ত বাবুর বিরুদ্ধে বিশেষ পকসো আদালতে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ-সহ চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই মামলার রায়ে আনন্দন ওরফে বাবুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বিচারে তাকে ১৪২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এর সঙ্গে তাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে যা দিতে না পারলে আরও এক বছর বেশি কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
কিন্তু ১৪২ বছরের কারাদণ্ড? এই সুদীর্ঘ জেল-যাপনের জন্য সে কি আদৌ বেঁচে থাকবে? কোনও মানুষই কি তা পারে, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। অভিজ্ঞ আইনজীবিদের দাবি, এই সাজা আসলে জঘন্যতম অপরাধের জন্য একটি 'প্রতীকী' শাস্তি। পকসো আইনে এই সাজাই সর্বোচ্চ। এই শাস্তি দেওয়ার অর্থ, ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি হিসেবে জনমানসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। অনেকক্ষেত্রেই আসামি জেলের মধ্যে ভাল আচরন করলে, অর্থাৎ প্রকৃত অর্থেই তার মধ্যে সংশোধনের চিহ্ন দেখা গেলে সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই নজিরবিহীন সাজা প্রকৃত অর্থেই যাবজ্জীবনের শাস্তি। অর্থাৎ, মৃত্যু পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে অভিযুক্তকে।
১২৯ জনের মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ায়! ফুটবল ম্যাচে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জের