শেষ আপডেট: 23rd September 2024 15:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা তথা রাজ্যে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট গড়ে তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একমত হওয়ায় বেজায় খুশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এক এক্সবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এর জন্য গর্বিতবোধ করছেন বলে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, কলকাতার জন্য ঐতিহাসিক বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের বিষয়ে আমি গর্বিত ও সৌভাগ্যবান মনে করছি।
মমতা লিখেছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবদানও। সেকথাই রাজ্যের নাগরিকদের জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কলকাতায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে বিষয়ে ঘোষণা করায় আমি খুশি।
সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে মার্কিন বিনিয়োগের বিরাট খবরের পিছনে রয়েছে আমাদের দীর্ঘ কঠিন পরিশ্রম এবং চেষ্টা। উল্লেখ্য, রবিবার মোদী-বাইডেনের আলোচনায় কলকাতায় একটি নতুন সেমিকন্ডাক্টর ফেব্রিকেশন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয়।
দুই রাষ্ট্রনেতাই সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে সেন্সিং, যোগাযোগ এবং জাতীয় নিরাপত্তায় পরবর্তী প্রজন্মের তথ্যপ্রযুক্তি ও দূর সংযোগ ছাড়াও পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুতে প্রয়োগের উপর জোর দেন। কলকাতার গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ এই কাজে হাত বাড়াবে। সেখানে গবেষণা ছাড়াও চিপ তৈরি হবে। এখানে বলা প্রয়োজন, সেমিকন্ডাক্টর হল বৈদ্যুতিন ডিভাইজের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ। এর প্রয়োগে যোগাযোগ, কম্পিউটিং, স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পরিবহণ, পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ ছাড়াও অগুনতি কাজে ব্যবহার হয়।
মমতার বক্তব্য, গতবছরের গোড়া থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্ত দফতর এবং আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওয়েবেল প্রথম সারির সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিপ ডিজাইন এবং স্টার্টআপগুলিকে বিভিন্নভাবে পুনর্বিন্যাস করেছে। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ, সিনোপসিস, মাইক্রন এবং আরও কিছু প্রথম সারির আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলি বেশকিছু প্রযুক্তি আলোচনাসভার আয়োজন করে।
মমতার দাবি, ওরা আমাদের ইউনিট ও অফিসগুলি দেখেছে এবং বিনিয়োগের ক্ষমতা অনুধাবন করেছে। এ বছর কলকাতায় রাজ্য সরকার আয়োজিত গ্লোবাল ভিএলএসআই সম্মেলনে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রের বড় বড় কোম্পানি হাজির হয়েছিল। মমতা শেষে লিখেছেন, আসন্ন বিনিয়োগের সহায়তায় আমি সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। পশ্চিমবঙ্গ জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের প্রকৃত গন্তব্য হয়ে উঠুক।