শেষ আপডেট: 29th December 2021 11:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় বিমান কোম্পানিগুলি (airlines) ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষদের (airports) চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমানমন্ত্রকের যুগ্মসচিন উষা পাধির নির্দেশ, যেন বিমানের (fligjt) ভিতরে, বিমানবন্দর টার্মিনালে ভারতীয় সঙ্গীত (indian music) বাজে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিসার্চের (আইসিসিআর) অনুরোধের উল্লেখ করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে সঙ্গীতের সূচনা হয়েছিল ‘সামাজিক-ধর্মীয় জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসাবে। পাধি লিখেছেন, দুনিয়াব্যাপী অধিকাংশ বিমান কোম্পানিই, তারা যে যে দেশের, সেখানকার সঙ্গীত বাজায়। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন এয়ারলাইন্স জ্যাজ বা অস্ট্রিয়ার বিমান কোম্পানিগুলি মোত্জার্ট, মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা আরব দেশের সঙ্গীত বাজায়। কিন্তু ভারতীয় বিমান কোম্পানিগুলি খুব কমই ফ্লাইটে ভারতীয় সঙ্গীত বাজায়, অথচ আমাদের সঙ্গীতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বিরাট। ভারতের সত্যিই যেগুলি নিয়ে গর্ব করার কারণ আছে, সেগুলির অন্যতম এটি। আইসিসিআর গত ২৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির ফ্লাইটে ভারতীয় সঙ্গীতকে তুলে ধরার আবেদন করে। বিদেশমন্ত্রকের অধীনে চলা একটি স্বশাসিত সংস্থা তারা। সিন্ধিয়া আইসিসিআরে গেলে তাঁকে ভারতীয় সঙ্গীতকে তুলে ধরা সহ নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়। সিন্ধিয়াকে দেওয়া চিঠিতে আইসিসিআর বলেছে, ভারতে বেশিরভাগ বিমান কোম্পানিই, কী সরকারি, কী বেসরকারি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ান চালানো উভয়েই, বলতে গেলে ভারতীয় সঙ্গীত প্রায় বাজায়ই না। এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সঙ্গীতের মাধ্যমে ফুটে ওঠে আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, যা গর্বের ব্যাপার। সিন্ধিয়াকে দেওয়া চিঠিতে সই করেছেন অনু মালিক, কুশল এস ইনামদার, মালিনী অবস্থি, শৌনক অভিষেকী, রীতা গাঙ্গুলি, ওয়াসিফুদ্দিন ডাগর সহ বেশ কয়েকজন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁরা সেদিনের বৈঠকেও ছিলেন। গত আগস্টেই দেশের ৭৫তম স্বাধীনতাদিবস পূর্তির প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রক সরকারি, বেসরকারি বিমান কোম্পানিগুলিকে ফ্লাইটের ভিতরে ঘোষণার সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যাত্রীদের শোনাতে বলেছিল। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের কিছু বিমানের গায়ে মহাত্মা গান্ধীর চিত্র এঁকে তাঁর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীও পালন করেছে। তবে বিমান কোম্পানিগুলি ধন্দে পড়েছে, ভারতীয় সঙ্গীত বলতে হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, রবীন্দ্রসঙ্গীত, বলিউডি গানা বা লোকসঙ্গীত, ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে? তাছাড়া দিল্লির মতো অধিকাংশ ব্যস্ত বিমানবন্দরকে সাইলেট এয়ারপোর্ট বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানে ওঠার গেট বদলের মতো জরুরি বিষয় বাদে সেখানে মাইকে কোনও ঘোষণাই হয় না। বিমান কোম্পানিগুলির মতে, সরকার এসব ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে বরং এয়ার টারবাইন ফুয়েলের (এটিএফ) দাম কমানোর কথা ভাবুক। কেননা তাদের খরচের বোঝা বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ এটিএফের দাম।