High Court
শেষ আপডেট: 22nd October 2024 20:06
পটাশপুরে বধূকে কীটনাশক খাইয়ে খুন, হাইকোর্টে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি পরিবারের
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: পটাশপুরের বধূকে কীটনাশক খাইয়ের খুনের ঘটনার ময়নাতদন্তে রিপোর্ট নিয়ে অসন্তাষ প্রকাশ করেছিলেন আত্মীয়রা। এবার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হল পরিবার। একই সঙ্গে সিবিআই তদন্ত চেয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে আবেদন করল মৃতের আত্মীয়রা।
গত অক্টোবর উত্তাল হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। বধূকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের কাছে প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ করেনি মৃতের পরিবার। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই মহিলার স্বামী বাইরে থাকেন। সন্তানদের নিয়ে তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। গত ৫ অক্টোবর রাতে প্রতিবেশী শুকচাঁদ ও তার দলবল নিয়ে মহিলার বাড়িতে ঢোকে। ওই বধূকে ধর্ষণ করে। সেই সময়ে ঘর থেকে পালাতে গিয়ে মহিলা পা পিছলে উঠোনের কলতলায় পড়ে যান। মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। বধূর মুখ বন্ধ করতে তাঁর গলা কীটনাশক ঢেলে দেয় শুকচাঁদ।
আরও পড়ুন
প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, শুকচাঁদ এলাকার অন্য এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিল। তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থা দেখে নিয়েছিলেন 'নির্যাতিতা'। তারপর থেকে ওই বধূকে প্রাণে মারা হুমকি দিচ্ছিল শুকচাঁদ। ঘটনার সময়ে স্থানীয়রা শুকচাঁদের সঙ্গে তার প্রেমিকাকেও দেখেছিল।
৬ অক্টোবর হাসপাতালে বধূর মৃত্যু হলে জনরোষ আঁছড়ে পড়ে শুকচাঁদের বাড়িতে। তাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে ব্যাপক মারধর করেন স্থানীয়রা। গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ শুকচাঁদকে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুকচাঁদের মৃত্যু হয়।
এরপরেই জটিলতা তৈরি হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে খুনের অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে সেখানে ধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে নির্যাতিতা বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরপরেই নির্যাতিতার পরিবার এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। মৃতের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দাবি জানায়।
