শেষ আপডেট: 1st November 2024 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৯ অগস্ট থেকে ১ নভেম্বর। দেখতে দেখতে ৮৪ দিন পার! আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় ছাড়া দ্বিতীয় কোনও গ্রেফতারি না হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
শুক্রবার সন্ধেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে দেবাশিস হালদার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, "তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আমরা হতাশ। দেখতে দেখতে এতগুলো দিন পেরিয়ে গেল। তদন্তের কোনও অগ্রগতি তো দেখা যাচ্ছে না।"
নির্যাতিতার দ্রুত বিচারের দাবিতে গত বুধবার সিবিআইয়ের কলকাতার অফিসে অভিযান করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে সিবিআই-এর উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতে সিবিআই ইতিমধ্যে একটি চার্জশিট দিয়েছে। সেই চার্জশিট নিয়ে মোটেই খুশি নন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার ওই প্রসঙ্গ টেনে দেবাশিসরা বলেন, এটাই যদি সিবিআই-এর প্রাথমিক চার্জশিট হয় তাহলে তা অত্যন্ত দুর্বল। এছাড়া এই চার্জশিটে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে, থেকে গেছে একাধিক প্রশ্নও।
নির্যাতিতার অটোপসির নমুনা নেওয়ার পর তা অনেক দিন বাদে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। কেন এত দেরি? সঞ্জয় রায়কে ৯ অগস্ট রাতে গ্রেফতার করা হলেও তার রক্ত মাখা জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ১২ অগস্ট। এখানেও কেন দেরি করা হল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ঘটনার দিন নির্যাতিতার বাবা-মাকে হাসপাতালে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায়, চার্জশিটে বাবা-মা কখন হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন তার উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী ৩ ঘণ্টা কী হয়েছিল, কেন বসিয়ে রাখা হয়েছিল তার কোনও উত্তর মেলেনি। একই সঙ্গে, টালা থানায় কখন ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন কোনও এফআইআর করেনি, তারও কোনও ব্যাখ্যা চার্জশিটে নেই বলেই দাবি করেছেন তাঁরা।
প্রশ্ন এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতার নখের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা, তাতে সঞ্জয় রায়ের টিস্যু ছিল কিনা, অন্যদিকে নির্যাতিতার শরীরে যে তরল পদার্থ মিলেছিল তার পরীক্ষা হয়েছিল কিনা, হলে তাতে সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ মিলেছে কিনা, এসবেরও ব্যাখ্যা সিবিআই চার্জশিটে নেই বলে দাবি। তারও উত্তর চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরজি করে নির্যাতিতা যাতে সঠিক বিচার পান সেই দাবিতে 'অভয়ামঞ্চ' তৈরি করে ফের পথে নেমেছিলেন ডাক্তারা। পাশাপাশি আগামী ৪ নভেম্বর ‘দ্রোহের আলো জ্বালাও’ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন তারা। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওভাবেই আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে না। উল্টে দ্রুত মামলার সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।