শেষ আপডেট: 1st October 2024 12:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টে বারবার জামিনের আবেদন করেও লাভ হচ্ছিল না। তাই নিয়োগ মামলায় জামিন চেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর্জি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। নোটিস জারি করে বলা হয়েছে, পার্থর জামিনের মামলা নিম্ন আদালতকে দ্রুততার সঙ্গে শুনতে হবে। ইডির মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পার্থর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা হতে পারে। কিন্তু কোনও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ার আগেই তিনি ২ বছর জেলে রয়েছেন। তাই তাঁকে দ্রুত জামিন দেওয়া হোক। এই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিম্ন আদালতকে নিয়মিতভাবে দ্রুত এই মামলা শুনতে হবে। শীর্ষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ দিন পর।
গত শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে পার্থ ছাড়াও সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ, অপূর্ব সাহাদের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সিবিআই বরাবর দাবি করে এসেছে, তিনি প্রভাবশালী। জামিন পেলে মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করে প্রমাণ নষ্টও করতে পারেন। কিন্তু শুক্রবারের শুনানিতে পার্থর আইনজীবী স্পষ্ট বলেন, তিনি এখন মন্ত্রী নন। কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাও তাঁর পাশে নেই। তাই তাঁকে 'প্রভাবশালী' বলা যায় না আর।
এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তুলনা না করার আর্জিও জানান পার্থর আইনজীবী। শুনানিতে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা মন্তব্য করেন, ''সুপ্রিম কোর্ট থেকে একজন জামিন পেয়েছেন বীরভূমে। তিনি তো আবার দলে যোগ দিয়েছেন। জামিন পাওয়ার পরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও যোগ দিতে পারেন।'' কিন্তু এর পাল্টা পার্থর আইনজীবী বলেন, ''অনুব্রত বিধায়ক নয়। একজন রিমোট কন্ট্রোলার। গোটা বীরভূম কন্ট্রোল করেন।'' কিন্তু তাঁর মক্কেল এখন দলেও নেই, প্রভাবশালীও নন। তাহলে জামিনে বাধা কেন, প্রশ্ন ছিল তাঁর।