শেষ আপডেট: 2nd February 2025 12:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল।
বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্কট এখনও কাটেনি ৷ সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তবে এখনও অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
গত সোমবার থেকে এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন পার্থ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।পরে শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হওয়ায় আদালতের অনুমতি ক্রমে বাইপাসের ধারে মুকুন্দপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা ছিলই। বাড়তি বিড়ম্বনা হিসেবে ক্রিয়েটিনিন, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রাতে গোলমাল দেখা দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, চিকিৎসক সৌরেন পাঁজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তিন সদস্যের বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিয়োলজিস্ট অনুপ খৈতান এবং নেফ্রোলজিস্ট প্রতীক দাস ৷
পরিস্থিতির জন্য অবশ্য পার্থর খাদ্যাভ্যাসকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত জেল কর্তৃপক্ষও। তাঁদের মতে, এই বয়সেও খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে পার্থর সংযমের অভাব রয়েছে, যা নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতার একটা বড় কারণ।
জেল সূত্রে বলা হচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়র প্রায়ই কুপন দিয়ে জেলের ক্যান্টিন থেকে মাটন কিনে খান। চিংড়ি মাছ হলে তো কথাই নেই। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তাঁর এসব খাওয়া দাওয়া চলে। তাঁর শরীর এমনিতেই ভারী। জেলে আকছার তাঁর পা ফুলে যায় বলেই খবর।
জেল হেফাজতে থাকা এই ধরনের বন্দিদের পরিবার জেল ক্যান্টিন থেকে কুপন কেটে দিয়ে যেতে পারেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই কুপন দিয়েই ক্যান্টিন থেকে আকছার মাটন, চিংড়ি মাছ কিনে খান। অথচ পার্থর শরীরে কোলেস্টরলের সমস্যা রয়েছে। এমনিতে চিকিৎসকরা বারবারই বলেন, কোলেস্টরল বেশি থাকলে রেট মিট, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি এড়িয়ে চলাই ভাল।
তবে পার্থ ঘনিষ্ঠদের মতে, মানিক ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা সবাই একে একে জামিন পেয়ে গেছেন। জামিন পেয়ে গিয়েছেন পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। তা নিয়ে হয়তো এমনিতেই তাঁর কিছুটা মনোকষ্ট রয়েছে। সেটা ভুলতেই সম্ভবত বাড়তি খাবারের দিকে মনোনিবেশ করেছেন পার্থ।
প্রসঙ্গত, খাদ্য রসিক হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুনাম আছে। অতীতে বিধানসভা হোক কিংবা তৃণমূল ভবন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি মানেই সেখানে প্রচুর পরিমাণ খাবার থাকবে। তবে শুধু নিজে খেতেন এমনটা নয়, চারপাশে থাকা মানুষজনকেও খাওয়াতেন তিনি।