শেষ আপডেট: 4th December 2024 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টে বুধবার নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভূঁইয়ার মন্তব্য, যারা জামিন পেয়েছেন তাদের সঙ্গে পার্থ নিজেকে তুলনা করলে তাঁর লজ্জিত হওয়া উচিত। কিন্তু জামিন পেতে মরিয়া পার্থ আদালতের আবেদন করেছেন, জামিন পেলে তিনি ভিনরাজ্যেও থাকতে রাজি!
বিগত কয়েক সপ্তাহে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিকজন জামিন পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যিনি আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। তারই বাড়ি থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পার্থর আইনজীবী বলেন, বাকিদের জামিন হলে তাঁর মক্কেলের কেন হবে না? অর্পিতা যদি জামিন পান, তাহলে পার্থকেও জামিন দেওয়া উচিত।
শীর্ষ আদালতের এই প্রেক্ষিতে বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতি যে সময়ে হয়েছে সেই সময়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সবাই ছিলেন না, ছিলেন পার্থ। তাই বাকিদের সঙ্গে তুলনায় যাওয়ার আগে তাঁর লজ্জা হওয়া উচিত। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দুর্নীতিতে যুক্ত হওয়ার পর যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পান তাহলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। এও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, হয়তো ডামি রেখে পার্থ দুর্নীতি করেছেন।
ইডি বারবার পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে ধরেছে। এদিন তার প্রেক্ষিতে আবার পার্থর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে জামিন দিলে তিনি প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে দেবেন, ভিনরাজ্যে থাকবেন! যদিও এই দাবিতেও বরফ গলেনি সর্বোচ্চ আদালতে।
আদালতে ইডির সওয়াল, বাকি ধৃতরা সকলেই জানিয়েছেন তাঁরা পার্থর সঙ্গে কাজ করতেন, তাই প্রত্যেকের অবস্থানের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান এক হতে পারে না। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী আরও জানান, অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তাঁদের জানিয়েছেন, নিজের এবং মায়ের কথা ভেবেই তিনি প্রথমে ভয়ে কিছু বলতে পারেননি। তাঁর বাড়িতে পাওয়া নগদ ৫০ কোটি টাকা এবং গয়না নিয়েও তিনি কিছু জানেন না। যা বলার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই বলতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টে গোয়েন্দার সংস্থার পক্ষে আরও বলা হয়েছে, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই এই মামলায় চার্জ ফ্রেম করা হবে। তাই এই সময়ে জামিন হলে তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। শীর্ষ আদালত অবশ্য এদিনই কোনও রায় দেয়নি। পরবর্তী শুনানিতে কোনও রায় দেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার।