শেষ আপডেট: 12th August 2024 00:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে ডিউটিরত ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্রতর হতে চলেছে। আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল-সহ কলকাতা এবং জেলার একাধিক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কাজেও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে সোমবার থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা আরও প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, নো সেফটি নো ডিউটি। সূত্রের খবর, সোমবার আরজিকরে পড়ুয়াদের আন্দোলনে শামিল হতে চলেছেন নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার মা-বাবাও।
জানা যাচ্ছে, ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে আরজিকর পর্যন্ত মিছিল করবেন আরজিকর-সহ কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রাখতে চিকিৎসক ও অচিকিৎসক কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রসঙ্গত, আরজিকরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে মহিলা চিকিৎসক, ছাত্রী-সহ সার্বিকভাবে নারী সুরক্ষার জন্য ১৫ দফার নির্দেশিকা জারি করেছে লালবাজার। আরজিকর কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এমনকী এক্ষেত্রে অভিযুক্তর সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।
রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফের বৈঠক করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে কলকাতার একজন এসিপিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই এসিপি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা একাধিক দাবি জানিয়েছেন। তাঁর মধ্যে অপরাধীর কঠোরতম শাস্তির দাবিও রয়েছে। যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের কথায়, "আমরা কানাঘুষো শুনছি মৃত ছাত্রীকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। ২-৩জন নাকি ছিল। সিপিও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলতে পারেননি। জানিয়েছেন, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"