শেষ আপডেট: 12th November 2024 20:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন দ্বাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর নাম তৃষিতা চক্রবর্তী (১৮)।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার দাঁইহাট শহরের বকুলতলার ঘটনা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ৪ জুন দাঁইহাট গার্লস হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রীর বাবা-মায়ের ডির্ভোস হয়। তখন থেকেই মনমরা থাকত মেয়েটি। বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের জেরেই তাঁর এই আত্মঘাতী পরিণতি বলে মনে করছে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশের দাবি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীত, নৃত্য এবং আবৃত্তিতে পারদর্শী ছিলেন তৃষিতা। ওই সমস্ত বিষয়ে প্রতিযোগিতায় একাধিক পুরস্কারও রয়েছে। তাঁর এমন পরিণতিতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিন মৃতার ময়নাতদন্তের সময় হাসপাতালে দেখা যায়নি তাঁর মা তনুকাদেবীকে। ছিলেন বাবা তরুণ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, প্রাক্তন স্ত্রী তনুকাদেবীর অত্যাচারের কারণেই মেয়ে তৃষিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
তৃষিকার বাবা তরুণ চক্রবর্তী কাটোয়ার মাকালতোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা তনুকা গৃহবধূ। তনুকাদেবী বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। দাঁইহাটের বকুলতলায় মা শর্বানীদেবীর সঙ্গে বাপেরবাড়িতে থাকতেন। ওখানেই থাকতেন তরুণবাবুও।
তরুণবাবুর দাবি, করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ওইসময় শরীরের ওজন কমানোর জন্য আয়ূর্বেদিক চিকিৎসা কেন্দ্রে যাতায়াত করতেন তনুকাদেবী। তখনই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। অশান্তি হত। যার নিট ফল চলতি বছরের ৪ জুন দুজনের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ।
তরুণবাবুর অভিযযোগ, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর থেকে মেয়ের ওপরেও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। সে কারণেই তৃষিতা আত্মঘাতী হয়েছে। তবে তনুকাদেবীর সঙ্গে এদিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে মেলেনি তাঁর প্রতিক্রিয়াও।