শেষ আপডেট: 1st June 2023 06:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা পুলিশের সদর দফতর- লালবাজার। যার সঙ্গে তুলনা করা হয় বিখ্যাত স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের। এই লালবাজার কতশত ইতিহাসের সাক্ষী। কত রাজবন্দি, বিপ্লবী রাত কাটিয়েছেন এখানকার অন্ধকার কুঠুরিতে। এখন যদিও তার চেহারা পাল্টেছে। বেড়েছে বহরও। সম্প্রতি এই লালবাজারের একটি ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। দেখা গেল, কলকাতা পুলিশ হেড কোয়ার্টারের কিছু নথি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঠোঙা। আর তাতে ভরে শিঙারা, কচুরি বিক্রি করছেন দোকানদাররা।
কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের উল্টোদিকে, আশেপাশের চত্বরে অজস্র এমন ছোটখাটো কচুরি-জিলিপির দোকান রয়েছে। সেসব দোকানেই লালবাজারের এই নথিগুলির জেরক্স কপি ঠোঙা বানিয়ে কচুরি, জিলিপি, শিঙারা বিক্রি করা হচ্ছে। সেই কাগজের কোনওটায় রয়েছে অভিযুক্তকে সমন পাঠানোর নোটিস, কোনওটায় আবার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের লেখা চিঠি।
সেইসব ঠোঙার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার জেরক্স কপিও। এতেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। কারণ যে কোনও তদন্তই, বিশেষত সাইবার প্রতারণার তদন্তে গোপনীয়তা বজায় রাখা আবশ্যিক। কারণ, সাইবার প্রতারণার ক্ষেত্রে যিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য থাকে সেই তদন্তের নথিতে। ফলে এসব কপি কীভাবে বাইরে চলে এলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে এই ব্যাপারে কচুরির দোকানদারদের বক্তব্য, "লালবাজারের উল্টোদিকে জেরক্সের দোকান থেকে প্রতিমাসে তাঁরা জমা কাগজ কিনে নেন ঠোঙা তৈরির জন্য। সেই দোকান থেকেই এই কাগজগুলি পেয়েছেন তাঁরা। যদিও জেরক্সের দোকানের মালিক এই অভিযোগ সরাসরি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এমন কাগজ এই প্রথম দেখেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন পুলিশকর্তারা।
সাতসকালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন